২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে মামলা দায়ের করার জন্য ভুয়ো নথি ব্যবহারের অভিযোগে গত ২৫ জুন থেকে জেলে আছেন তিস্তা। যেভাবে দু’মাসের বেশি সময় ধরে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত হাই কোর্টের ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘৩ অফাস্ট নোটিস জারি করে ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে। জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে কি ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়?’’ তিস্তাকে জামিন না দেওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: কী এমন ফল যার উপকারিতার কথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে! শুনলে চমকে যাবেন...
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, “এটি এমন কোনও অপরাধের মামলা নয়, যার জন্য জামিন দেওয়া যাবে না। তাছাড়া তিনি একজন মহিলা। দু’মাস ধরে জেলে রয়েছেন। অথচ আজ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা গেল না।'' অন্য দুই বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াও বলেন, তিনি একজন মহিলা। কী করে একটি আদলত ছয় সপ্তাহ পরে অভিযুক্তের জবাবদিহি চাইতে পারে?
আরও পড়ুন: অতীতকে ফেলে নতুন ভবিষ্যতের সূর্যোদয়, বিক্রান্তের উদ্বোধনের পর আবেগতাড়িত মোদি
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই মামলায় ইউএপিএর মতো কোনও জটিল ব্যাপার নেই যেখানে জামিন দেওয়া কঠিন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বৃহস্পতিবারের শুনানি মুলতুবি চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্ত যুক্তি হাই কোর্টের শোনা উচিত, সুপ্রিম কোর্টের নয়। এটাই আমার আপত্তির মূল জায়গা।’’ তিস্তার তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘আমি এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করছি। এখানে এফআইআর হতে পারে না। আমার মক্কেল কী কী নথি জাল করেছেন, তা এফআইআরে কোথাও লেখা নেই।’’