এরপরেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা৷ গ্রেফতার হয় বছর চব্বিশের ভিকি গুপ্তা এবং একুশ বছর বয়সি সাগর পল৷ দু’জনকেই সেই সময় তুলে দেওয়া হয়েছিল মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে৷ তারপর এপ্রিল মাসেই আবার পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার হয় গ্যাংয়ের সদস্য সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন।
এবার এই গোটা ঘটনা নিয়ে সলমন খানের বয়ান প্রসঙ্গ এল সামনে৷ সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্টি-এক্সটর্সন সেলের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে সলমন খান বলেছেন, ‘‘আমি একটা বাজি ফাটানোর মতো আওয়াজ পেয়েছিলাম৷ তারপর ভোর ৪ টে ৫৫ মিনিটে পুলিশ দেহরক্ষী জানালেন, দু’টো লোক গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের দোতলার বারান্দা লক্ষ্য করে বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়েছে৷ এই ঘটনার আগেও আমায় আর আমার পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে৷ পরে জানতে পারলাম, বিষ্ণোই গ্যাং এই ঘটনার দায় স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে৷ তাই মনে হয়, বিষ্ণোই গ্যাং-ই গুলিটা চালিয়েছিল৷’’
advertisement
আরও পড়ুন সংসদে হঠাৎ মমতার নাম! মহুয়া মৈত্রের উপরে বেজায় চটলেন ওম বিড়লা, বুধবার জুড়েই তুলকালাম
এখানেই থামেননি সলমন৷ তিনি জানিয়েছেন, শুধু এই বারই নয়, এর আগেও একটি এমনই পোস্টে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে খুন করার কথা জানিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা৷ তাই তাঁর মনে হয়, তাঁকে খুন করে, ওরা তাঁর পরিবারের বাকিদেরও খুন করার পরিকল্পনা করেছিল৷ এবারের ঘটনার পরে তিনি নাকি বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে সর্বদা সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছিলেন৷
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে এর আগেও হুমকি পেয়েছিলেন সলমন ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা৷ সেই কথা মনে করিয়ে সলমন বলেন, ‘‘২০২৩ সালের মার্চ মাসে আমার এক কর্মচারীর অফিশিয়াল মেলে একটি মেল আসে৷ সেখানেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে আমাকে ও আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়৷ এরপর আমার ওই কর্মচারী বান্দ্রা থানায় এ নিয়ে একটি কেস দায়ের করে৷’’
শুধু তাই নয়, সলমন খান জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর পানভেলের ফার্মহাউজে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল দু’জন৷ সেই বিষয়টিও সন্দেহজনক৷
প্রসঙ্গত, জেল হেফাজতে থাকাকালীন সলমন গুলি কাণ্ডে ধৃত অনুজ থাপনের মৃত্যু হয়। শোনা যায়, আত্মহত্যা করেছে সে। যদিও এই তথ্য অনুজের পরিবার মানতে নারাজ। ছেলের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক। এই আর্জি নিয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুজের মা রীতা দেবী। তাঁর আইনজীবীর দাখিল করা পিটিশনেই সলমন খানের নাম লেখা ছিল। এতে আপত্তি বিচারপতি রেবতী মোহিতে-দেরে ও শ্যাম ছন্দকের ডিভিশন বেঞ্চের।
জেরার মুখে ধৃতেরা অবশ্য স্বীকার করেছিল যে, তারা গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে বন্দুক ও গুলি দুই-ই নদীতে ফেলে দিয়েছিল৷ পরে অবশ্য ২টি বন্দুক ও ৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা৷