গ্রিন ডট ট্রাস্ট৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ সাধারণত, এই সংস্থার সদস্যেরা সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করে থাকেন৷ মাস ছয়েক আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে কর্ণাটকের মহীশূরে বছর একচল্লিশের অঞ্জলি কুশয়াহাকে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াতে দেখেন এই সংগঠনের কর্মীরা৷ দেখা মাত্রই ব্য়বস্থা নেওয়া হয় সংগঠনের তরফে৷ উদ্ধার করা হয় অঞ্জলিকে৷
advertisement
উদ্ধারের পরে অঞ্জলিকে পাঠানো হয় গ্রিন ডট ট্রাস্টের আশ্রমে৷ সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলে দীর্ঘদিন৷ চিকিৎসায় সাড়াও দেন অঞ্জলি৷ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন৷ মনে পড়ে তাঁর স্বামী, পরিবার, গ্রাম এবং জেলার নাম। তারপরেই খোঁজ নিয়ে দেখা হয় তাঁর আসল ঠিকানা৷
আরও পড়ুন: রেল যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর! আজ থেকে আরও কম AC কোচের ভাড়া
সঠিক ঠিকানা জানার পরে, ট্রাস্টের সদস্য শ্রীনিবাস কেবি এবং হর্ষিতা মহিলাকে বিমানে করে ভোপালে নিয়ে যান। সেখান থেকে সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের এইচওডি রাজেশ কুমার গৌতম এবং ছাত্র হিমাংশু লারিয়ার সহায়তায় অঞ্জলি তাঁর বাড়ি বহাদরপুর রাহাতগড়ে পৌঁছন৷ দীর্ঘদিন পরে মুখোমুখি হন স্বামী অশোক কুশওয়াহার সঙ্গে৷ দেখতে পান ছেলে মেয়েদের৷ স্ত্রীকে যে কোনওদিন ফিরে পাবেন, সে আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন অশোক৷ হঠাৎ, অঞ্জলিকে কাছে আপ্লুত গোটা পরিবার৷