কেন এমন হল এবং কীভাবে বাঘটি এমন জনতার সামনে আসল? বন দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক থেকে বেরিয়ে আসা বাঘটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে মানুষখেকো সন্দেহে ঘিরে ধরে বর্শা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
advertisement
বাঘটির দেহ যেভাবে পাওয়া গেছে, তা আরও ভয়ঙ্কর৷ দেখা গিয়েছে, তার শরীর থেকে চামড়া ছাঁড়ানো হয়েছে, কান ও লেজ কেটে নেওয়া হয়েছে, নখ ও গোঁফ পর্যন্ত তুলে ফেলা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, বাঘটির একটি পা এবং শরীরের বেশ কিছু অংশের মাংসও নিখোঁজ।
ঘটনাটি ঘটেছে খুমটাই এলাকায়। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রামে আশ্রয় নেওয়ার পর কিছুদিন না কি বাঘটি ভালই উৎপাত শুরু করেছিল৷ গত কয়েকদিনে সেটি বেশ কয়েকজনকে আক্রমণ করেছিল বলে অভিযোগ ছিল গ্রামবাসীদের। বাঘের ভয়ে বাড়ি থেকে বেড়োতে ভয় পাচ্ছিল সবাই৷ এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত৷ স্থানীয়রা একসঙ্গে বাঘটিকে ঘিরে ধরে আক্রমণ চালায়। তারা লাঠি, দা, রড ও অন্যান্য স্থানীয় অস্ত্র ব্যবহার করে বাঘটিকে হত্যা করে।
বন ও পুলিশ বিভাগের একটি দল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে বাঘটি মারা যায়। কর্মকর্তারা জানান, তারা বাঘের দেহ উদ্ধার করেছেন এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই স্থানীয়রা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর বন দফতরের পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পরিবেশবিদদের মতে, এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। একদিকে যেমন বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য কড়া আইন রয়েছে, অন্যদিকে এরকম ঘটনা সেই আইনকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। তদন্ত চলছে, অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসন।