তথ্য অনুযায়ী, মধুবন থানা এলাকার পুলিশ পিকেটের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা বাইক আরোহীকে বাঁচানোর চেষ্টায় স্করপিও চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর গাড়িটি বাইক আরোহী দুই যুবককে ধাক্কা মেরে একটি গাছে প্রবল গতিতে ধাক্কা খায়।
advertisement
স্করপিও এবং বাইকের প্রবল গতিতে সংঘর্ষ হওয়ার কারণে দুটি গাড়িরই অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলো নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গিরিডিতে পাঠিয়েছে।
এই ৬ জনের মধ্যে বাইকে যারা ছিলেন, তাদের পরিচয় উদ্ধার হয়েছে। একজন ২৭ বছর বয়সী ববলু টুডু এবং ধাওয়াটান্ডের বাসিন্দা হুসেইনি মিয়া, বয়স ৫৫ বছর। তারা তাদের আত্মীয়কে পারসনাথ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে বাড়ি ফিরছিল।
আরও পড়ুন: এক মোবাইল ফোনই কেড়ে নিল ভাই-বোনের প্রাণ, কুয়োয় মিলল জোড়া মৃতদেহ! জানুন হাড়হিম করা ঘটনাটি…
স্করপিওতে থাকা ২ জন নিমিয়াঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা এবং ২ জন মুঙ্গেরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন সোমেশ বর্তমানে ইসরি বাজারে অবস্থিত ক্যানারা ব্যাংকে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। গোপাল কুমার ২১ বছর এবং গুলাব কুমার ইসরি বাজার, ডুমরির বাসিন্দা। গাড়িতে থাকা অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
দ্বিতীয় ঘটনাটিও গিরিডিতে হয়েছে। এই দুর্ঘটনা আটকা-মুন্ডরো রোডে বিহারোর কাছে ঘটেছে। এতে বাইক আরোহী দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের চিকিৎসা হাজারিবাগের সদর হাসপাতালে চলছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, রাত ১২টায় মুন্ডরো থেকে একটি বাইকে চড়ে তিন যুবক তাদের বাড়ি বিহারো ফিরছিল। এই সময় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খায়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার জন্য বাগোদর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার সময় একজন যুবকের মৃত্যু হয়। এরপর গুরুতর আহত দুই যুবককে হাজারিবাগের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসার সময় আরও একজন যুবকের মৃত্যু হয়। মৃতদের পরিচয় আশীষ কুমার (পিতা রামকৃষ্ণ মণ্ডল), অভিষেক কুমার (পিতা- স্বর্গীয় নাগেশ্বর মণ্ডল)। মৃতদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।