গ্রিন হাইড্রোজেন উত্পাদনের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য রিয়ালেন্স-এর এই পদক্ষেপ। ডেনমার্কের এই সংস্থা গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনে খরচ কমাতে সাহায্য করবে। সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট সামিটে অংশ নিয়েছিলেন রিলায়েন্স-এর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। তখনই তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে এক ডলারে এক কেজি গ্রিন হাইড্রোজেন উত্পাদনের লক্ষ্য ঠিক করেছে তাঁর সংস্থা।
advertisement
রিলায়েন্স ও Stiesdal আরও বেশ কিছু প্রেজেক্টে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে। যেমন অফশোর উইন্ড এনার্জি, নেক্সট জেনারেশন ফুয়েল সেল, লং ডিউরেশন এনার্জি স্টোরেজ সহ একাধিক প্রোজেক্ট। তবে আপাতত দুই সংস্থা হাত মিলিয়ে গ্রিন হাইড্রোজেন প্রোজেক্টে কাজ করবে। আসলে রিলায়েন্স এক দশকের মধ্যে এক ডলারে এক কেজি গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে। আর সেই লক্ষ্যে সংস্থা আরও কিছুটা এগিয়ে গেল বলা যায়।
আরও পড়ুন- গুটখার পিক তুলতে রেলের বছরে খরচ শুনলে চমকে উঠবেন! শুরু নতুন 'উপায়'
এদিন মুকেশ আম্বানি বলেছেন, "গ্রিন এনার্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা আরও এক ধাপ এগোলাম। সোলার এনার্জি নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করছি বিকল্প শক্তি উৎপাদনে রিলায়েন্স আরও উন্নতি করবে।" ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে সন্তুষ্ট ডেনমার্কের সংস্থার কর্তারা। এর আগে জার্মানির (Germany) সোলার প্যানেল (Solar Panels) তৈরির সংস্থা নেক্সওয়েফ (NexWafe)-এ প্রায় ২.৯ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে রিলায়েন্স নিউ এনার্জি সোলার লিমিটেড (Reliance New Energy Solar Limited)।
সোলার প্যানেল ও সিলিকন ওয়েফার তৈরির ব্যবসায় নিজেদের জমি মজবুত করতে জার্মানির সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল রিলায়েন্স। সামনের তিন বছরে রিলায়েন্স বিকল্প শক্তি উত্পাদনে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। ৫ হাজার একর জমিতে গিগাফ্যাক্টরি তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।