রশিদের নামে এর আগেও নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ উঠেছে৷ ২০২০ সালে ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে৷ সে সময় ট্রাকচালকের কাজ করত ৩ বছর বয়সি এক নাতনির দাদু, রশিদ৷ সেই মামলা এখনও চলছে৷ অভিযোগ, ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধাকে নশংস ভাবে ধর্ষণ করে রশিদ৷ বৃদ্ধার গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল ছুরির আঘাতে৷ সেই একইরকম আঘাত ও ক্ষতচিহ্ন লক্ষ করা গিয়েছে জোড়া নরবলিকাণ্ডে নিহত দুই মহিলার দেহেও৷ জানিয়েছেন কোচির পুলিশ কমিশনার এইচ নাগারাজু৷
advertisement
বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে জোড়া নরবলিকাণ্ড নিয়ে বিশদে কথা বলেন নাগারাজু৷ তাঁর কথায়, ‘‘এটা এখন প্রমাণিত যে শফি একজন সাইকোপ্যাথ এবং বিকৃতকাম৷ যৌন পরিতৃপ্তি পেতে সে খুন করতেও পিছপা হত না৷ একটা জাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে তার৷ সেখানে বলেছে অর্থকষ্টে পড়লে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে৷ সে সাহায্য করবে৷ এভাবেই ঘাতক দম্পতি ভগবল সিং ও তাঁর স্ত্রী লায়লার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে সে৷ তাদের বিশ্বাস অর্জন করে ফাঁদে ফেলতে সময় লাগে তিন বছর৷ ’’ তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের মত, শিকার করা নারীদেহ থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখলে উত্তেজিত হয়ে পড়ত রশিদ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে রশিদ তার জাল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছিল নারী পরিচয়ে, নাম নিয়েছিল ‘শ্রীদেবী’৷
আরও পড়ুন : গুজরাতে নরবলি! সংসারে অর্থসম্পদ বৃদ্ধির উদ্দেশে নবরাত্রিতে কিশোরী কন্যাকে ‘উৎসর্গ’ বাবা মায়ের
পুলিশি জেরায় লায়লা জানিয়েছে তার স্বামীর সামনেই রশিদ তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল৷ সে সময় লায়লার স্বামী ভগবলের দু’ হাত নাকি বাঁধা থাকত৷ নরবলিকাণ্ডে নিহত দুই মহিলার দেহ থেকে মাংস কেটে রান্না করেও খেতে বাধ্য করেছিল রশিদ৷ বলেছিল এ সবই নাকি ‘রীতি’র অংশ৷ ইদানীং সে ভয় পেত ভগবল সব কথা বাইরে ফাঁস করে দেবে৷ তাই লায়লার সঙ্গে পরিকল্পনা করেছিল ভগবলকে সরিয়ে দেওয়ার৷ এ সবই উঠে এসেছে দীর্ঘ পুলিশি জেরায়৷
আরও পড়ুন : নাবালক সহপাঠীকে বিয়ে করার অভিযোগে গ্রেফতার ২০ বছর বয়সি অন্তঃসত্ত্বা কলেজছাত্রী
নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে মরিয়া দম্পতি ভগবল ও লায়লা নরবলিতে রাজি হয়েছিল রশিদের কথায়৷ তাদের নরবলি দেওয়ার জন্য ‘শিকার’ ধরেছিল রশিদই৷ অভিযোগ, টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে বন্দি করে রেখেছিল রোসেলিন ও পদ্মাকে৷ দুই মধ্যবয়সির হাত পা বেঁধে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়৷ কেটে ফেলা হয় তাঁদের স্তন৷ নিথর শরীর রক্তশূন্য হয়ে যাওয়ার পর টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়৷ পুলিশের সন্দেহ, সেই মাংসই খেয়েছিল ঘাতক স্বামী-স্ত্রী৷ এর পর মৃতাদের দেহের বাকি অংশ পুঁতে ফেলা হয়৷ ধারণা পুলিশের৷