রাম মন্দির উদ্বোধন লাইভ । Ram Mandir Inauguration LIVE Updates
রাম মন্দিরের নির্মাণ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান নৃপেন্দ্র মিশ্র দাবি করেছেন, রাম মন্দির যে প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে, তাতে তা এক হাজার বছর স্থায়ী হবে৷ দেশের তাবড় বিজ্ঞানীদের পরামর্শে রাম মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে৷ এমন কী, ব্যবহার করা হয়েছে ইসরোর প্রযুক্তিও৷ যেহেতু লোহার আয়ু ৮০-৯০ বছরের বেশি হয় না, সেই কারণেই মন্দিরের নির্মাণে লোহা অথবা স্টিল ব্যবহার করা হয়নি৷
advertisement
রাম মন্দির নির্মাণের মূল দায়িত্বে রয়েছেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা৷ চন্দ্রকান্ত সোমপুরার পরিবার এই ধরনের ঐতিহ্যশালী নির্মাণের সঙ্গে প্রায় ১৫ পুরুষ ধরে যুক্ত৷ তিনি জানিয়েছেন, উত্তর ভারতীয় মন্দিরের নগরশৈলী অনুযায়ী রাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে৷ চন্দ্রকান্তের আরও দাবি, গোটা বিশ্বের স্থাপত্য ইতিহাসে রাম মন্দিরকে বিরল এবং অভূতপূর্ব সৃষ্টি হিসেবেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে৷ শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বকে রাম মন্দির তাক লাগিয়ে দেবে বলেই দাবি করেছেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা৷
রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্ড ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)-এর ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার রমনচারলা জানিয়েছেন, সবথেকে উৎকৃষ্ট মানের গ্র্যানাইট, মার্বেল, স্যান্ডস্টোন ব্যবহার করে রাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে৷ পাথরগুলি জোড়া দিতে কোনও সিমেন্ট বা সুরকি জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়নি৷ তার বদলে খাঁজে খাঁজে পাথরগুলিকে বসিয়ে একটিকে অন্যটির সঙ্গে জোড়া হয়েছে৷ সিবিআরআই-এর দাবি, রাম মন্দিরের চারতলা সমান উচ্চতার এই নির্মাণটি হাজার হাজার বছর পর্যন্ত ভূমিকম্পের ধাক্কা সহ্য করে নেবে৷
মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কর্তারা জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ শুরুর আগে মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, যেহেতু নির্মাণস্থলের খুব কাছ থেকে সরযূ নদী বয়ে গিয়েছে, তাই ওই জায়গার মাটি এত বড় নির্মাণের পক্ষে খুব একটা উপযুক্ত নয়৷ মাটিতে যেমন বালির ভাগ বেশি এবং তা ভঙ্গুর প্রকৃতির৷ যদিও নিজেরাই মাথা খাটিয়ে এই সমস্যার সমাধান করেন বিজ্ঞানীরা৷
প্রথমে ওই জায়গাটি প্রায় ১৫ মিটার খুঁড়ে পুরো মাটি তুলে ফেলা হয়৷ এর পর ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ মতো বিশেষ ধরনের মাটির মিশ্রণ তৈরি করে ১২ থেকে ১৪ মিটার পর্যন্ত ভরাট করা হয়৷ কিন্তু কোনও স্টিলের বার ব্যবহার করা হয়নি৷ তার বদলে ৪৭টি মাটির স্তর তৈরি করে পুরো ভিতটিকে পাথরের মতো মজবুত করে ফেলা হয়৷
মাটির এই স্তরের উপরে দেড় মিটার পুরু এম-৩৫ গ্রেডের ধাতব বিহিন কংক্রিটের আস্তরণ বসিয়ে ভিতটিকে আরও মজবুত করা হয়৷ এর উপরে আবার ৬.৩ মিটার পুরু দক্ষিণ ভারত থেকে আনা গ্র্যানাইট পাথরের স্ল্যাব বসানো হয়৷
সাধারণ মানুষ মন্দিরের যে অংশ দেখতে পাবেন, সেটি রাজস্থানের বংশি পাহাড়পুর নামে গোলাপি স্যান্ডস্টোন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ মন্দিরের একতলায় রয়েছে ১৬০টি স্তম্ভ বা পিলার, দোতলায় ১৩২টি স্তম্ভ এবং তিন তলায় ৭৪টি স্তম্ভ৷ এর প্রতিটি স্তম্ভই স্যান্ডস্টোন দিয়ে তৈরি করে বাইরে থেকে খোদাই করে নকশা করা হয়েছে৷ কম্পিউটারে তৈরি প্রায় ৫০টি নকশার মধ্যে থেকে বর্তমান রাম মন্দিরের নকশাটি বেছে নেওয়া হয়েছে৷