রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ৯২ জন বিধায়ক আচমকাই বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।
রাজস্থানে কংগ্রেস বিধায়কদের বিক্ষোভ সামনে এসেছে। ফলে বেশ ব্যাকফুটে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। ইতিমধ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সচিন পাইলটের নাম উঠে আসছে। তবে সূত্রের খবর, বিধায়কদের একটা বড় অংশ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন।
advertisement
আরও পড়ুন- Adhir Ranjan Chowdhury: অপমানিত কংগ্রেস, ওম বিড়লাকে কেন চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালেন অধীর
এই পরিস্থিতিতে অশোক গেহলট, সচিন পাইলট এবং রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন সোনিয়া গান্ধি।
গেহলট সমর্থকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিধায়কদের মতামত ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। গেহলতপন্থী বিধায়করা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাসভবনে একটি বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, যারা বিজেপির সঙ্গে জোট করে দুবছর আগে সরকার পতনের চেষ্টা করেছিল, তাদের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত নয়।
সচিন পাইলট শিবিরের বিদ্রোহের সময় যে বিধায়ক সরকারের সঙ্গে ছিলেন তাদেরই মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। ২০১৯ সালে রাজস্থানে কংগ্রেসের জয়ের পিছনে রাজেশ পাইলটের ছেলে সচিন পাইলটের অবদান ছিল। কিন্তু সেবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি।
২০২০ সালে দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সচিন পাইলট। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়ায়। তবে শেষমেশ রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি তাঁকে বোঝান।
আরও পড়ুন- একাধিক দাবি নিয়ে সিটি সেন্টারের কাছে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের গণ অবস্থান
এবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়ছেন অশোক গেহলট। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে ফের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন সচিন পাইলট। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমর্থন তাঁর দিকেই রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, অশোক গেহলট নিজেও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে ঠিক করেছেন। এক ব্যক্তি-এক পদ নীতি মেনে তাঁর এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।