রাজস্থানের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শিশু দুটির বয়স যথাক্রমে ৭ ও ১২। একই পরিবারের ৯ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে রাজস্থানের স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে এবার সারা দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ২১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন, নজর খোলা রাখছে সরকার
advertisement
আপাতত ওই পরিবারের সদস্যদের রাজস্থান ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্সেস-এ ভর্তি করা হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পরই তাঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁদের স্যাম্পেলের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। এর পরই জানা যায়, তাঁরা ওমিক্রন আক্রান্ত।
ওই পরিবারের ৯ জনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও আলাদা করে রাখা হয়েছে। রাজস্থানের স্বাস্থ্য সচিব বৈভব গালরিয়া জানিয়েছেন, ওই পরিবারটি সিকর জেলার অজিতগড়ের। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও ট্রেস করা গিয়েছে। তাঁদেরও টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নাগাল্যান্গুলি চালানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ মমতার, চাইলেন ন্যায়বিচার...
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে আরও সাতজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ফলে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল আট। এর মধ্যে পুণেতেই রয়েছেন ৬ জন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল মুম্বই। ফলে সেখানে এখনও আতঙ্কের রেশ রয়েছে। চিকিতসকরা আগেই জানিয়েছিলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে আগুনের মতো। তা হলে কি পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে!
স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য জানাচ্ছে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে ইতিমধ্যে দেশের বহু মানুষ মাস্ক পরা ছেড়েছেন। কোভিড বিধির পালন হচ্ছে না বহু জায়গায়। এমনটা চলতে থাকলে যে বড় বিপদ আসতে পারে, তা আন্দাজ করাই যায়। ইতিমধ্যে কর্ণাটক, গুজরাট, রাজস্থান, মুম্বই, দিল্লিতে ওমিক্রনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।