পরিদর্শন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন প্রকল্প, জিরিবাম-ইম্ফল নতুন লাইন প্রকল্প এবং আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক রেল সংযোগ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৩ মে, ২০২৪ তারিখে রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য (পরিকাঠামো) অনিল কুমার খান্ডেলওয়াল ভৈরবী-সাইরাং নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্পের নির্মাণকার্য পরিদর্শন করেন, এই প্রকল্পটির দ্বারা উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের সঙ্গে স্থিতিশীল রেলওয়ে সংযোগের মাধ্যমে দেশের অবশিষ্ট অংশের সংযোগ সাধন হবে এবং এই প্রকল্পটি প্রায় সমাপ্তির পথে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফ্রেজারগঞ্জে বড় রহস্য! মাত্র ৫ মাসে ২৬ জনের ‘এভাবে’ মৃত্যু! ‘কারণ’ কী, ভয় ধরে যাবে আসল ঘটনা জানলে
প্রকল্পটির প্রায় ৯৩ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। এই প্রকল্পের দ্বারা মিজোরামে ৫১.৩৮ কিমি রেলওয়ে ট্র্যাক সংযোজনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে এবং প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৫টি মেজর ব্রিজ ও ৮৭টি মাইনোর ব্রিজ। প্রকল্পটির মোট টানেলের দৈর্ঘ্য হল ১২৮৫৩ মিটার। এই প্রকল্পে ৪টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটির সবচেয়ে লম্বা স্তম্ভটি রয়েছে ১৯৬নং. ব্রিজে, যার উচ্চতা হল ১০৪ মিটার, যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি উচুঁ। বোর্ডের সদস্য (পরিকাঠামো) ১৪ মে তারিখে জিরিবাম-ইম্ফল নতুন লাইন প্রকল্পের নির্মাণ কার্য ও পরিদর্শন করেন। এই প্রকল্পটিরও লক্ষ্য হলো উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের দেশের অবশিষ্ট অংশের সাথে স্থিতিশীল সংযোগ স্থাপন এবং এই প্রকল্পটিও প্রায় শেষের পথে। ১১১ কিমি লম্বা এই প্রকল্পে রয়েছে ৫২টি টানেল, ১১টি মেজর ব্রিজ, ১২৯টি মাইনোর ব্রিজ।
বিশ্বের মধ্যে রেলওয়ে ব্রিজের সবচেয়ে উঁচু স্তম্ভ এই প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হচ্ছে, যার উচ্চতা ১৪১ মিটার। প্রকল্পটির প্রায় ৭৭ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি পার্বত্য রাজ্য মিজোরাম ও মণিপুরের মানুষের জন্য যোগযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করবে। এই প্রকল্পগুলি একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলির ক্ষুদ্র মাপের শিল্পোদ্যোগ বিকাশের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক বিকাশেও সহায়ক হয়ে উঠবে।
এই রাজ্যগুলির জনগণ দেশজুড়ে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে যাত্রা করার সুযোগ লাভ করবেন এবং পাশাপাশি খুব কম ব্যয়ে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর বাধাহীন সরবরাহও লাভ করবেন। বোর্ডের সদস্য (পরিকাঠামো) ১৫ মে, ২০২৪ তারিখে আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক রেল সংযোগী প্রকল্পও পরিদর্শন করেন, যা নিশ্চিন্তিপুর (ত্রিপুরা) ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউরা স্টেশনকে সংযুক্ত করবে। এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী উভয় ট্রেনের জন্য ডুয়াল গজ স্টেশন হবে। এই রেল সংযোগ পর্যটন খণ্ডে বিশাল উৎসাহ দান করবে, ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে এবং দুটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত করবে।