সেটুকুই সংসদে পড়বেন অর্থমন্ত্রী। ব্রিটিশ ভারতে ১৯২৪ সালে আলাদা রেলবাজেট পেশের পরম্পরা শুরু। গত ৯২ বছরে রেল বাজেট ঘিরে কতই না গল্প। সে সবই হবে ইতিহাস।
রেল বাজেটের সঙ্গে জড়িয়ে প্রায় এক শতাব্দীর ইতিহাস। ১৯২৪ সালে
উইলিয়াম ম্যাকওয়ার্থের নেতৃত্বে প্রথম ব্রিটিশ ভারতের রেল বাজেট পেশ করে দশ জনের কমিটি। লালবাহাদুর শাস্ত্রী, বাবু জগজীবন রাম, জন মাথাই, গুলজারিলাল নন্দ, এবিএ গণিখান চৌধুরী, নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - রেলমন্ত্রীদের তালিকায় উজ্জ্বল সব নাম। নীতি আয়োগের প্রস্তাবে মেনেই এবারই ছেদ পড়ছে পরম্পরায়।
advertisement
কেন মিশছে রেল বাজেট
দুই বাজেট মিশলে ডিভিডেন্ট বাবদ ৯ হাজার ৭০০ কোটির বোঝা কমবে রেলের
অপ্রত্যক্ষ কর খাতেও ১২০০ কোটি বাঁচাতে পারবে রেল
রেল বাজেট থেকে রাজনৈতিক ফয়দা লাভের সুযোগ বন্ধ হবে
রেলের আধুনিকীকরণ ও উন্নতিতে অর্থ সংগ্রহের দায় মূলত অর্থমন্ত্রকের ঘাড়ে চাপবে
নতুন ট্রেন, লাইন সম্প্রসারণ, পরিষেবার উন্নতি - গত ৭০ বছরে রেল বাজেটে নতুন নতুন উপহার পেয়েছেন দেশবাসী। রেলবাজেট না থাকলে সেই পরম্পরার কি হবে? সবপক্ষের পরামর্শের ভিত্তিতেই বাজেটে নতুন ঘোষণার ভার অর্থমন্ত্রীর।
রেলের ক্ষমতা
রেলের ভাড়া, যাত্রী পরিষেবা ও পণ্যমাশুল নির্ধারণের ভার রেলমন্ত্রকের
রেলওয়ে অ্যাকাউন্টস কমিটিতে আলোচনা করেই তা ঠিক হবে
সংসদে আলাদা করে রেলের আর্থিক হিসাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
বেতন ও পেনশনের ভার থাকছে রেলমন্ত্রকের হাতেই
তাই মুখে যাই বলা হোক, রেলের ক্ষমতা অনেকটাই চলে যাচ্ছে অর্থমন্ত্রকের হাতে। আর এখানেই সুরেশ প্রভুর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন অরুণ জেটলি। বেতন কমিশনের বোঝা সামলে রেলের হাল বেহাল হতে দেননি রেলমন্ত্রী। সুরেশ প্রভুর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন অরুণ জেটলির।
জেটলির টার্গেট
একের পর এক রেল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে রেল নিরাপত্তায় বাড়তি নজর
আর্থিক দায় কমাতে খরচ কাটছাঁট
৩৪ হাজার কোটির আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়
বুলেট ট্রেনের বদলে দ্রুতগামী ট্রেনের ঘোষণা
রেল কি ঝিকঝিক মে হি দেশ কি ধকধক হ্যায় - রেল বাজেট পেশের আগে বলেছিলেন এক রেলমন্ত্রী। গত তিন দশক ধরে চাপের মুখে সেই হৃদযন্ত্র এখন থমকে যাওয়ার মুখে।দুই বাজেট এক হওয়ার পর ছবিটা কি বদলাবে?