কংগ্রেস সেবা দলের তরফে টুইটারে লিখেছেন, "দিল্লি মহিলা কংগ্রেস সেবা দলের সভানেত্রী রাজকুমারী গুপ্তা তাঁর মঙ্গলপুরীর বাড়িটি রাহুল গান্ধির নামে দিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধির সময়ে বাড়িটি পেয়েছিলেন তিনি। রাজকুমারী গুপ্তা দেবী বলেছেন, মোদিজি রাহুল গান্ধিকে বাড়িছাড়া করতে পারে,ন তবে দেশবাসীর মন থেকে বের করে দিতে পারবেন না।"
২২ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে দলের তরফে। সেখানে নথি হাতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। সেই নথি বাড়ির নথি বলেই খবর। সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এবার সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছে রাহুল গান্ধিকে। ২০০৫ থেকে নয়াদিল্লির তুঘলক লেনের যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেটি খালি করতে বলা হয়েছে। আর তাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন, তৃণমূলের সামনে কি কঠিন সময়? ২০২৪-এর আগে অকপট প্রশান্ত
বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে বিজেপি সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। বাড়ি খালি করার জন্য এপ্রিলের ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় পাবেন রাহুল গান্ধি ৷ ২৩ তারিখ থেকে তাঁর জন্য নির্ধারিত বাসস্থান আর তাঁর জন্য থাকবে না৷
এর আগে মোদি সমাজ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল সুরাতের আদালত৷ সেই নির্দেশের পরই গান্ধির সদস্যপদ বাতিল করা হয় সংসদ থেকে৷ তিনি জামিন পেলেও জনপ্রতিনিধি আইন অনুসারে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে লোকসভার সচিবালয়৷ তা নিয়ে উত্তাল হয় দেশের রাজনীতি৷ রাহুল গান্ধি নিজেও বলেন, তিনি এর পরেও মোদি সরকারের সমালোচনা করা ছাড়বেন না৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি সরকারের সমালোচনা সমান তালেই চালিয়ে যাবেন৷ বিজেপি বিরোধী দলগুলিও এক স্বরে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে৷ দেশ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেসের বিক্ষোভ শুরু হয়৷ কিন্তু তাতেও রাহুলের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনও বদল আসেনি৷