তিন বছর আগে মোদি পদবী নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে গতকাল রাহুল গান্ধিকে ২ বছরের কারাবাসের সাজা দেয় সুরাতের একটি আদালত৷ এর পর আজই রাহুল গান্ধির লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করার নির্দেশ জারি করেছন লোকসভার স্পিকার৷ জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইনের উল্লেখ করেই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন: ইডি-সিবিআই নিয়ে একা কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্টে বিরোধীদের বড় মামলা
advertisement
ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হল। রাহুলের সাজা ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস৷ দলের সাংসদরা দিল্লির রাস্তায় নেমেছেন৷ সাজা বহাল থাকলে আগামী ৬ বছরের জন্য রাহুল গান্ধি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
রাহুল গান্ধির উপরে এমন শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে বলে আগেই আন্দাজ করেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনাও করেন৷
আরও পড়ুন: অনুব্রতর আর রক্ষা নেই, গো-কয়লা কেলেঙ্কারির পর বড় দুর্নীতিতে যোগ দিচ্ছেন? বিস্ফোরক তথ্য
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে অভিযোগ করেছেন যে রাহুলের সাাংসদ পদ প্রত্যাখ্যান আসলে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার চেষ্টা। আরেক কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ও রাজনৈতিকভাবে লড়াই করবে
লন্ডনে রাহুল গান্ধীর করা মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সংসদ। রাহুলের সাংসদ পদ প্রত্যাখ্যান নিয়ে এ বার রাজধানীতে রাজনৈতিক পারদ যে চড়বে তা বলাই বাহুল্য। ভোটযুদ্ধে কোণঠাসা কংগ্রেস রাহুলের এই ইস্যুকে ব্যবহার করে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।