পাঞ্জাব সরকার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি আর্জি দাখিল করেছে। চার সপ্তাহ পর সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য আসবে।কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩১ অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কার্যক্ষেত্রের এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল গত ১১ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব-সহ কয়েকটি রাজ্য। এই দুই রাজ্যের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই একতরফা বিজ্ঞপ্তি জারি করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হেনেছে। রাজ্যগুলোর বক্তব্য, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপর দিয়েছে সংবিধান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত তার পরিপন্থী।
advertisement
আরও পড়ুন: আন্দোলনে সাফল্য এসেছে, এ বার রাজপথ ছেড়ে কৃষকদের ট্রাক্টর চলল ক্ষেতের দিকে
পাঞ্জাব সরকার এবং সরকারের আইনি প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়ে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু টুইট করেছেন, “রাজ্যগুলির গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো এবং স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার জন্য সংবিধানের মূল নীতিগুলি ধরে রাখার লড়াই শুরু হয়েছে।" এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল। এমন কী এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্য সরকারও। আর এই ইস্যুতে এ রাজ্যে কংগ্রেসকেও পাশে পাচ্ছে তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এই বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার মডেল গোয়াতেও! পাঁচশোর বদলে মাসে পাঁচ হাজার, প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের
অন্য দিকে, ক'দিন আগে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ (BSF)-এর এক্তিয়ার ভুক্ত এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাল্টা রাজ্যগুলির দাবি, এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বাড়বে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও সেসব নস্যাৎ করে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, এর ফলে রাজ্যগুলির এই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই উত্তরের পরেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, "কেন্দ্রের এই যুক্তির কোনও মানে নেই। এটা একবারই অর্থহীন। বিএসএফ-এর কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, চোরাচালান রোখা। আইনশৃঙ্খলা দেখা তাদের কাজ নয়।"
RAJIB CHAKRABORTY