আরও পড়ুন- পঞ্জাব দখলের পর এবার আম আদমি পার্টির পাখির চোখ কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড় বিধানসভা!
কেন ২৩ মার্চ শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়?
ভারতের তিন স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং, সুখদেব থাপার এবং শিবরাম রাজগুরুর ফাঁসির দিন হল ২৩ মার্চ। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়তে থাকা নির্ভীক দৃঢ়চেতা তিন তরুণ মুক্তিযোদ্ধাকে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর জেলে ফাঁসি দেয় ব্রিটিশ শাসকরা।
advertisement
এই জুটির নেতা এবং পঞ্জাবের অন্যতম লড়াকু নেতৃত্ব ছিলেন ভগৎ সিং। ১৯০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পঞ্জাবের লায়ালপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। লালা লাজপত রায়ের হত্যাকাণ্ডে দলটি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পেশায় আইনজীবী লালা লাজপত রায় ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর লাহোর সফরের সময় সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে একটি অহিংস প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। শান্তিপূর্ণ সেই প্রতিবাদের উপর লাঠি চালায় ব্রিটিশ পুলিশ। নৃশংস আক্রমণ করা হয় লালা লাজপত রায়কে। গোটা ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ভগৎ। গুরুতর আহত হয়ে অবশেষে ১৯২৮ সালের ১৭ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লালা লাজপত রায়।
আরও পড়ুন- পুরীর আদলেই দিঘায় চোখ ধাঁধানো জগন্নাথ মন্দির গড়ছে রাজ্য সরকার, খরচ ১২৮ কোটি টাকা
১৯০৭ সালেই ১৫ মে লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন সুখদেব। ১৯২১ সালে ভগৎ সিংয়ের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে যোগ দেন বিপ্লবী সংগঠন হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনে (HRA)। ১৯২৮ সালে নিজেদের সমাজতান্ত্রিক দল বলে ঘোষণা করে HRA।
১৯২৮ সালে সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করে একটি নীরব মিছিল চলাকালীন ন্যাশনাল কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ প্রধানকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এই দল। তবে লক্ষ্য চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় জুনিয়র অফিসার জেপি সন্ডার্সকে হত্যা করে তাঁরা হয়। ভগৎ, রাজগুরু এবং সুখদেবকে প্রাণে বাঁচতে লাহোরে পালিয়ে যান।
১৯২৯ সালে, ভগৎ সিং এবং তাঁর এক সহযোগী ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভায় বোমা নিক্ষেপ করেন।