শুক্রবার ট্যুইটারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি লিখেছেন, 'শ্রী কে আর রমেশ কুমারের করা মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা ব্যাখ্যাতীত যে কী ভাবে কেউ এমন শব্দ ব্যবহার করতে পারেন, এটা অসমর্থনীয়। ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। বন্ধ করুন।' বৃহস্পতিবার কর্নাটক বিধানসভায় কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। তাঁর বক্তব্য, 'ধর্ষণ যখন অনিবার্য, তখন শুয়ে পড়ে সেটা উপভোগ করাই ভালো।'
advertisement
আরও পড়ুন: পীযূষ গোয়েলের ভূমিকায় মনোজ ঝা, 'নকল সংসদ'-এ সাড়া ফেলল বিরোধীরা
কংগ্রেস নেতার এমন মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছেন কর্নাটক বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা কংগ্রেস বিধায়ক কে আর রমেশ কুমার। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় তাঁর ধর্ষণ সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমারের নিন্দা করেন। এদিকে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে রমেশ কুমার বলেন, 'আমি বিধানসভায় যে বক্তব্য রেখেছিলাম, তাতে যদি সমাজের কোনও অংশ, বিশেষ করে নারীরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে দুঃখ প্রকাশ করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।'
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসার ঘটনায় নিম্ন আদালতে চিহ্নিত ১০ অভিযুক্ত, সুপ্রিম কোর্টেরও নতুন নির্দেশ
গতকাল কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার সময় কর্নাটক বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। সে সময় ক্ষুব্ধ স্পিকার বিশ্বেশরা হেগড়ে কাজেরি বলেন, 'আমি বিধানসভা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। সবাইকে সময় দিতে গেলে হাউস চলবে না। এখন আপনারা যা বলবেন, তাতেই আমাকে হ্যাঁ বলতে হবে। এই পরিস্থিতি উপভোগ করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই।' তখনই স্পিকার বিশ্বেশরা হেগড়ের তালে তাল মিলিয়ে তাঁরই পূর্বসূরি রমেশ কুমার বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলে দেন, ধর্ষণ যখন থামাতে পারছেন না, তখন উপভোগ করুন। আশ্চর্যজনকভাবে কেউ তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেননি। খোদ স্পিকারও নন। উল্টে বিধানসভার অধিকাংশ সদস্য তাঁর কথায় হেসে উঠেছেন।