কয়েকদিন আগে প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, নীতীশের বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না৷ তারই পাল্টা বুধবার নীতীশ কুমার বলেন, প্রশান্ত কিশোর পাবলিসিটি স্টান্ট করছেন৷ হতে পারে প্রশান্ত কিশোর তলায় তলায় বিজেপির হয়ে কাজ করছেন৷ তার পরেই বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই ট্যুইট করে প্রশান্ত কিশোর৷ সেখানে তিনি নীতীশ ও মোদির ছবির একটি কোলাজ পোস্ট করেন৷ যদিও ট্যুইট করার মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ডিলিটও করা হয়ে যায়৷ কেন করলেন তিনি এমন! জাতীয় রাজনীতিতে মোদি বিরোধিতার মঞ্চে এঁরা দু’জন একমঞ্চে থাকলেও, বিহারের আঞ্চলিক রাজনীতিতে এঁরা একসঙ্গে নেই৷ বরং সেখানে নতুন করে নিজের দাগ কাটতে চাইছেন প্রশান্ত, উল্টোদিকে ক্ষমতা ধরে রাখাই লড়াই লড়তে হচ্ছে নীতীশ কুমারকে৷ তা হলে কী বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে সরাসরি লড়াইয়ে নামবেন দু’জনে, সেটাই এখন প্রশ্ন৷
advertisement
আরও পড়ুন: পুজো অনুদানে কি ৬০ হাজার টাকা দিতে পারবে সরকার? ভবিষ্যৎ ঝুলে রইল হাই কোর্টে
আরও পড়ুন: 'আগে তো প্রমাণ করতে হবে', বিস্ফোরক মমতা! ইডি-কে বেনজির আক্রমণ, তোলপাড় বাংলা
সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে এক লহমায় বিরোঝী আরজেডির সঙ্গে জোট সরকার তৈরি করেছেন নীতীশ কুমার৷ নতুন সরকারের ফলে রাতারাতি বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে বিহার হয়েছে বিরোধী শাসিত রাজ্য৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে, এই রাজনৈতিক ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷ তার পরেই প্রশান্তের কাছে প্রশ্ন গিয়েছিল এই রাজনৈতিক পালাবদল নিয়ে৷ সে খানে প্রশান্তের মতামতের পর পাল্টা মতামত দেন নীতীশ কুমারও৷ তিনি বলেন, ‘‘কেউ যখন এ ভাবে কথা বলছেন, তাঁর অর্থ তাঁর কোনও সুপ্ত দাবি আছে৷ হতে পারে তিনি বিজেপির সঙ্গ ধরতে চান বা লুকিয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করতে চান৷’’ এই কথার প্রেক্ষিতেই প্রশান্তের আজকের ট্যুইট, মনে করা হচ্ছে এমনই৷