আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতা নাবালিকাকেই ফের ধর্ষণ! গ্রেফতার অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক
সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের ঘোষণা না করলেও ওই ট্যুইটে ‘জন সূরয’ নামটির উল্লেখ করেছেন পিকে। পিকে ‘জন সূরয’ বলতে বুঝিয়েছেন, ‘পিপলস্ গুড গভর্ন্যান্স’ অর্থাৎ মানুষের সুশাসন। সমাজকর্মী, RTI কর্মী থেকে শুরু করে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। এই প্রসঙ্গে I-PAC-এর এক পদস্থ আধিকারিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “বিহারবাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন পিকে। সঙ্গে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।”
advertisement
সপ্তাহখানেক আগেই প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা ঘিরে উত্তাল ছিল রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধি সহ একাধিক নেতৃত্বের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন পিকে। কিন্তু, সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষমেশ প্রশান্ত জানিয়ে দেন সনিয়া গান্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখান করছেন তিনি। কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব ফেরানোর পর পিকে এক ট্যুইটে জানান, “কংগ্রেসে যোগদান ও ভোটের দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। আমার বিনীত মত, গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে দলের সমস্যা সমাধানের জন্য আমার চেয়েও দলের এখন প্রয়োজন নেতৃত্ব ও সম্মিলিত সদিচ্ছার।"
আরও পড়ুন- হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাবধান! বাতাসের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস: গবেষণা
নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ’র গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও, পরবর্তীতে নীতীশের সঙ্গে পিকের সম্পর্কে চিড় ধরে এবং জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন প্রশান্ত কিশোর। নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরকে সক্রিয় রাজনীতির অংশ হতে দেখা যায়নি এর পরে। গত বছর মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক জয়ের নেপথ্যের কাণ্ডারী হিসেবে পিকেকেই মান্যতা দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। অন্য দলের রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করতে করতে নিজের রাজনৈতিক মানচিত্র কীভাবে গড়তে চলেছেন পিকে এখন মূল প্রশ্ন সেইটিই।