আরও পড়ুন- যোগীর কড়া নির্দেশ, উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় স্থান থেকে ৬০৩১ টি লাউডস্পিকার সরাল পুলিশ
“প্রথম দিন রাহুল গান্ধি নিজেই বলেছিলেন পিকে যোগ দেবেন না, এই প্রথম তাঁকে দলে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি,” জানিয়েছে কংগ্রেসের এক সূত্র। অনেকেই বলছেন, এই নিয়ে আট বার নির্বাচনী কৌশলবিদকে কংগ্রেসে যোগদানের জন্য বলা হয়। পিকেই কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য রোডম্যাপে গড়তে জন্য একটি বৈঠকের ডাক দেন, জানিয়েছে সূত্র।
advertisement
রাহুল গান্ধি প্রশান্ত কিশোরের ডাকে তেমন সাড়া না দিলে পিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। “কমিটির বিভিন্ন কংগ্রেস নেতারাই পিকের প্রস্তাবগুলি বিষয়ে গুরুত্ব সহকারেই চিন্তাভাবনা করেন কিন্তু পিকে সম্পর্কে তাঁরা সতর্কও ছিলেন,” জানিয়েছে ওই সূত্র।
আরও পড়ুন- কেন এতটা এগিয়েও কংগ্রেসে যোগ দিলেন না প্রশান্ত কিশোর? দলকেই খোঁচা পিকে'র ট্যুইটে
প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, কংগ্রেস নেতৃত্ব দলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কতটা ইচ্ছুক তা নিয়ে পিকের গভীর সন্দেহ ছিল। এই সময়ে রাহুল গান্ধির বিদেশ সফর সেই সন্দেহকে আরও জোরালো করে দেয়। কংগ্রেসের শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম রাহুল গান্ধিকে খুব কমই কোনও সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বলে জানিয়েছে পিকে’র ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি। অনেকেই বলছেন, দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে নির্ধারিত বিদেশ সফর পিছিয়ে দিতেই পারতেন রাহুল।
অতীতে নরেন্দ্র মোদি, নীতীশ কুমার এবং অমরিন্দর সিংয়ের মতো নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে অভ্যস্ত এই রাজনৈতিক কৌশলী, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের হয়ে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীনতা চেয়েছিলেন।