হিমালয় অঞ্চলের স্থানীয় কারিগরদের শিল্প প্রচারের জন্য সোহম নামে একটি জাদুঘরও চালান সমীর। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘ব্রহ্ম কমল টুপি’ (Brahma Kamal Cap) তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মিলে ডিজাইন করেন সেই ২০১৭ সালে। উত্তরাখণ্ড গঠন দিবসে এই টুপিটি মানুষের সামনে আনা হয়। স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই টুপিটি তৈরি করেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ডের টুপি, মণিপুরের উত্তরীয়! প্রজাতন্ত্র দিবসে মোদির সাজে ভোটের অঙ্ক?
উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দারা সাধারণত একটি সাদা ‘নেহেরু টুপি’ পরেন। গাড়ওয়াল অঞ্চলে একই ধরনের একটি কালো টুপি ব্যবহার করেন লোকজন। জৌনসার অঞ্চলের স্থানীয়রা এমন একটি টুপি পরেন যা দেখতে ‘হিমাচলি টুপি’র কাছাকাছি।
আরও পড়ুন- “প্রকৃত নায়কদের” সম্মান জানাতে বদ্ধপরিকর মোদি! পদ্ম পুরস্কার প্রসঙ্গে অমিত শাহ
“প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব পোশাক বা টুপি জাতীয় জিনিস রয়েছে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে, রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডের স্বতন্ত্র পরিচয়কে বহন করে এমন কিছু আমাদের ছিল না। ফলত, আমরা একটা টুপি (Brahma Kamal Cap) বানানোর সিদ্ধান্ত নিই,” ফোনে নিউজ ১৮-কে বলেন সমীর শুক্লা। টুপিটা ঠিক কেমনভাবে বানানো যায় তা ভাবার সময়ই এই দম্পতি বুঝতে পেরেছিলেন ট্রেন্ডি এবং একটু অন্যরকমের হতে হবে এই টুপিটিকে, যাতে অল্পবয়সীরাও তা পরতে পারে।
“আমরা ব্রহ্ম কমলের (রাজ্য ফুল) নামে টুপির নাম রেখেছি। এছাড়াও, সামনের দিকে চারটে সরু রেখার মতো নকশা করা হয়েছে যেটাতে এই টুপিটিকে আরও সুন্দর দেখাচ্ছে,” বলেন সমীর। টুপিটি প্রথম তৈরি হয় ২০১৭ সালে এবং গত পাঁচ বছরের বেশি বছরে প্রায় ৮,০০০ টি টুপি বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কারিগররা এই টুপি তৈরি করেন এবং যথোপযুক্ত উপার্জনও করেন। অফলাইন এবং অনলাইন দুই মাধ্যমেই ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় এই টুপি।
‘পাহাড়ি স্টোর-এর মালিক দেরাদুনের যুবক রমন সাইলি অন্যান্য অনেক জিনিসের পাশাপাশি ‘ব্রহ্ম কমল’টুপিও বিক্রি করেন। একজন বিজেপি সাংসদ তাঁর কাছে এসে যখন টুপিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন বেশ অবাকই হয়েছিলেন রমন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির উত্তরাখণ্ডের টুপি পরা হিমালয় রাজ্যের সমস্ত কারিগরদের জন্য বিশাল বড়ো ব্যাপার। স্থানীয় কারবারের “আচ্ছে দিন”-এর স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছেন তারা।