আরও পড়ুন- জন্মদিনে প্রেমিকাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ! মৃত্যু নাবালিকার, পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক
“দেশ আমাদের কৃষক ভাই ও বোনদের জন্য গর্বিত। তাঁরা যত শক্তিশালী হবেন, নতুন ভারত তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। আমি খুশি যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এবং কৃষি সম্পর্কিত অন্যান্য প্রকল্পগুলি দেশের কোটি কোটি কৃষককে নতুন শক্তি দিচ্ছে,” হিন্দিতে একটি ট্যুইটে বলেছেন মোদি।
advertisement
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কৃষক আন্দোলনের মুখে পড়েই কৃষি বিল প্রত্যাহার করে নেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কৃষকদের অধিকার অর্জন এক পর্যায়ে অসম্ভব মনে হলেও শ্রমিক শ্রেণি এবং সমাজের বিস্তীর্ণ অংশের অভূতপূর্ব সমর্থনে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন তা অর্জন করে দেখিয়েছিল। আর তার ফলেই মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে।
আরও পড়ুন- বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস ২০২২: সত্যিই কি কঠিনতম রোগও সারাতে পারে হোমিওপ্যাথি?
শুধু তাই নয় ২০১৮ সালে পঞ্জাব, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা থেকে হাজারে হাজারে কৃষক কিষাণ মুক্তি মার্চে যোগ দেন। সারা ভারত থেকে প্রায় ২০০ টি বড় এবং ছোট কৃষক দল জোট বেঁধে প্রথমে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হন এবং তারপর হেঁটে রামলীলা ময়দানে যান। সেই ঐতিহাসিক কৃষক মিছিল এবং আন্দোলনের জেরে মোদি সরকারের পিছু হঠার পরে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য কৃষকদের মধ্যে বিজেপির আস্থা কতটা বাড়াতে পারবে এই প্রশ্নও তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।