সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মণিপুরের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ, এই ঘটনা ৪ মে-র। সেদিন দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আবেদন করছি, নিজেদের রাজ্যে আইনব্যবস্থা আরও মজবুত করুন। বিশেষ করে আমাদের মা-বোনেদের রক্ষার জন্য। কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। রাজনীতি, বাদ বিবাদের উপরে উঠে, যে কোনও রাজ্যে আগে নারীর সম্মান রক্ষা হোক।’
advertisement
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই বড় কোনও চমক দেবেন অনুব্রত? তিহাড়ে গুঞ্জন, কেষ্টর কামব্যাক কবে!
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘কোনও অপরাধীকে ছাড় নয়। মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য।’ দুই জনজাতি মহিলাকে যৌন হেনস্তার প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় গোটা দেশের মাথা নত হচ্ছে।’ এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে সরব গোটা দেশ। বিরোধীরাও ভিডিও প্রসঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত দু’ মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দফায় দফায় অশান্তি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেখানে যাওয়ার পরেও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, মণিপুরের বিবস্ত্র মহিলাদের ভাইরাল ভিডিও সরাতে ট্যুইটারকে নির্দেশ কেন্দ্রের
৩ মে ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। মেতেই সংখ্যাগুরু ইম্ফল উপত্যকায় বেশকিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এর প্রতিক্রিয়াও হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। এখনও মণিপুরে অশান্তি অব্যাহত। সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।