সম্মেলনে বাহিনীর আধুনিকীকরণ, যৌথ উদ্যোগ (jointness), সমন্বয় (integration) এবং বহুমাত্রিক যুদ্ধক্ষেত্রে (multi-domain warfare) প্রস্তুতি বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, তারা শুধু দেশের নিরাপত্তাই নয়, জাতি গঠনের ক্ষেত্রেও অসামান্য ভূমিকা পালন করছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন সাম্প্রতিক অপারেশন ‘সিঁদুর’-এ সশস্ত্র বাহিনীর সফল ভূমিকার কথা।
advertisement
এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী “Indian Armed Forces Vision 2047” শীর্ষক নথি প্রকাশ করেন । এই নথিতে আগামী দুই দশকে সশস্ত্র বাহিনীর রূপান্তরের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হল ভারতকে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে একটি ‘Future-Ready Armed Forces’ প্রদান করা ।
‘ভিশন ২০৪৭’-এর মূল দিকগুলো হল:
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও গবেষণা-উদ্ভাবনে গুরুত্ব। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় ও যৌথ কার্যক্রম। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প ও উৎপাদনে জোর। সাইবার, মহাকাশ ও তথ্যযুদ্ধের মতো নতুন যুদ্ধক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রতিরক্ষা রপ্তানিতে অগ্রণী ভূমিকা।
আরও পড়ুন- ‘বেআইনি পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিহারে SIR বাতিল’, নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন চলবে । জানা গেছে, এখানে ইস্টার্ন কমান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। সীমান্ত এলাকায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, সমন্বিত (integrated) অভিযান পরিচালনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কৌশল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মূল্যবান । এই অভিজ্ঞতা জাতীয় পর্যায়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।