প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই দুর্ঘটনার জন্য যান্ত্রিক ত্রুটি আসল কারণ। তদন্তের ( কোর্ট অফ এনকোয়ারি) জন্য একটি কমিটি গঠন করে রিপোর্ট দেওয়া হবে দ্রুত। ঠিক এক বছর আগে রাজস্থানেই নাল বিমানঘাঁটি থেকে ওড়া মিগ ২১ বাইসন ভেঙে পড়েছিল বিকানেরে। সেবার তদন্ত করে দেখা গিয়েছিল ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে যাওয়ায় দুর্ঘটনা হয়। তবে এই বিমান প্রায় ছয় দশক পেরিয়ে গেলেও ভারতীয় বিমানবাহিনী ব্যবহার করে যাচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার রয়েছে এই ফাইটারের। আসলে রাশিয়ার থেকে কেনা এই বিমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছাড়াও কার্গিল যুদ্ধেও ভারতের হয়ে শত্রুদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। উইং কমান্ডার অভিনন্দন এই বিমান নিয়েই পাকিস্তানের অত্যাধুনিক এফ সিক্সটিন ধ্বংস করেছিলেন।
advertisement
ইঞ্জিনিয়াররা শুধু বিমানটির খোল এক রেখে ভেতরে বেশিরভাগ জিনিস পরিবর্তন করে দিয়েছেন। আধুনিক রাডার থেকে ডিজিটাল ককপিট, জিপিএস থেকে আধুনিক সেন্সর, বাড়ানো হয়েছে অস্ত্র বহন করার ক্ষমতাও। তবুও মিগ ২১ বাইসনকে উড়ন্ত কফিন নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমান এয়ার মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়া নিজেই কয়েকদিন আগেও এই বিমান উড়িয়ে বিমান বাহিনীর প্রস্তুতির প্রমাণ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন এয়ার মার্শাল ধানোয়া পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন মিগ ২১ বাইসন আধুনিক প্রযুক্তির পর অনেক বদলে গিয়েছে। গতি, শক্তি এবং লড়াইয়ের ক্ষমতায় আধুনিক প্রজন্মের ফাইটারদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে পাশাপাশি এই ফাইটারকে বিদায় জানানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আসলে রাফাল এই মুহূর্তে ছত্রিশটির অর্ডার দেওয়া হলেও ভারতের হাতে এসে পৌঁছেছে এগারোটি। পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মার্ক ওয়ান আরও আধুনিক করে তোলার কাজ চলছে। কিন্তু এই সব প্রক্রিয়া যতদিন না শেষ হচ্ছে মিগ ২১ বাইসনকে বিদায় জানাতে পারছে না আইএএফ। এর মূল কারণ উত্তর চিন এবং পশ্চিমে পাকিস্তানকে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হলে যে পরিমাণ স্কোয়াড্রন প্রয়োজন, তুলনায় তার থেকে কম স্কোয়াড্রন রয়েছে ভারতের হাতে। আর আপগ্রেড করার পর বাইসন কিন্তু লড়াইয়ের ক্ষমতা রাখে। তাই একটি বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ হলেও পুরো এই স্কোয়াড্রকে বাতিল করার ভাবনা এখনই নেই আইএএফের।