এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর তীব্র প্রতিবাদ, যার সদস্য সংখ্যা ৪ লক্ষেরও বেশি চিকিৎসক, এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংস্থাগুলি ও সংগঠনগুলির আপত্তি।
আশ্চর্যের বিষয়, এই নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (DGHS) ৯ই সেপ্টেম্বর জারি করে, বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উদযাপনের একদিন পরেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় (X-এ) ফিজিওথেরাপিস্টদের কাজের স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, তাঁরা বয়স্কদের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চলতি বছরের ২৩শে এপ্রিল ন্যাশনাল কমিশন ফর অ্যালাইড অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রফেশনস (NCAHP), (যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে) ফিজিওথেরাপির স্বীকৃত পাঠ্যক্রম প্রকাশ করে, যার পর ফিজিওথেরাপিস্টদের ‘ড.’ উপসর্গ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
DGHS-এর তরফে ড. সুনীতা শর্মা চিঠিতে জানান, ফিজিওথেরাপিস্টরা ‘ড.’ উপসর্গ ব্যবহার করলে তা ভারতীয় মেডিকেল ডিগ্রি আইন, ১৯১৬-এর লঙ্ঘন হবে। তিনি পরামর্শ দেন, ফিজিওথেরাপির গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েটদের জন্য একটি আরও উপযুক্ত এবং সম্মানজনক উপাধি ভাবা যেতে পারে, যা রোগী বা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে না।
DGHS-এর তরফে ড. ভানুশালীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ফিজিওথেরাপিস্টদের ‘Dr’ উপসর্গ এবং ‘PT’ সাফিক্স ব্যবহারের বিরুদ্ধে ভারতীয় অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (IAPMR) সহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে একাধিক আপত্তি ও আবেদন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন- ‘ওঁদের হারতে মজা লাগে, ওঁরা এতেই খুশি…’ উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে কটাক্ষ সুকান্তের
চিঠিতে বলা হয়েছে, IAPMR জানিয়েছে যে এই বিভ্রান্তির সূচনা হয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর অ্যালাইড অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রফেশনস-এর অধীনে প্রকাশিত “কম্পিটেন্সি বেসড কারিকুলাম ফর ফিজিওথেরাপি” (২০২৫) সিলেবাস থেকে, যা ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়। চিঠিতে ড. সুনীতা শর্মা উল্লেখ করেছেন যে ফিজিওথেরাপিস্টরা চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষিত নন, তাই তারা ‘ড.’ উপসর্গ ব্যবহার করতে পারেন না, কারণ এটি রোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করে।
আরও বলা হয়, “ফিজিওথেরাপিস্টদের প্রাথমিক চিকিৎসা (Primary Care) দেওয়ার অনুমতি থাকা উচিত নয়। তারা শুধুমাত্র রেফার করা রোগীদেরই চিকিৎসা করতে পারেন, কারণ তারা রোগ নির্ণয় করার প্রশিক্ষণ পান না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ভুল থেরাপি রোগীর অবস্থা আরও খারাপ করে দিতে পারে।”