২২৬৪১ টিভিসি তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল-শালিমান সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আটকে বাঙালি এক পরিবারের সঙ্গে কথা হল নিউজ18 বাংলার। প্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে সেই ট্রেনে চেপে কলকাতা ফিরছেন। এই মুহূর্তে বিলাসপুরে আটকে তাঁরা। দেড় দিনের ট্রেনযাত্রা এখন সাড়ে ৪ দিন পেরতে চলল। ৭৭ ঘণ্টার বেশি হয়ে গিয়েছে এক কামরায় আটকে তাঁরা।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রর ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, চালু হল রেলের হেল্পলাইন নম্বর, জানুন
advertisement
শনিবার ত্রিবান্দ্রাম থেকে ট্রেন ছেড়েছে বিকেল ৫টায়। সোমবার, অর্থাৎ গতকাল দুপুরে শালিমারে নামার কথা ছিল। কয়েক ঘণ্টা দেরি হতেই পারে, এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, বাড়ি পৌঁছতে পারছেন না কেউ।
প্রতীকের কথায়, ‘‘তাও আমরা এসি-তে আছি বলে বাঁচোয়া। যাঁরা নন এসি-তে, তাঁরা কেমন আছেন জানি না। এখানে আবার অন্য মুশকিল। এসি-তে বাচ্চাদের জ্বর চলে আসছে। প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে। আমার নিজের ছেলেরই জ্বর। পাশের কামরায় রাইলস টিউব লাগানো পেশেন্ট রয়েছেন, তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভাইজাগ থেকে ১০০ কিমি দূরে ট্রেনটা দাঁড়িয়ে ছিল। কতক্ষণ লাগবে, কেন দাঁড়িয়েছে, কারও কাছে কোনও আপডেটই ছিল না। বাইরে থেকে খবর পেলাম, ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। তারপর থেকে সিগন্যালিংয়ের বিশাল সমস্যা। কোথায় কোন জঙ্গলে আটকে পড়ছি, কিছু বুঝতে পারছি না।’’
একটাই স্বস্তি, এখনও পর্যন্ত প্যান্ট্রি চালু রয়েছে। তাই খাবার এবং জল পাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু বাথরুমের ভয়ানক অবস্থা। রেল কর্মীরাও ওভারটাইম করে করে ক্লান্ত। ফলে কিছুতেই বাথরুম পরিষ্কার হচ্ছে না। এক চাদর, বালিশেই কাটাতে হচ্ছে চারদিন। যাত্রীদের একটিই দাবি, তাঁদের যেন সময়মতে খবর দেওয়া হয়, কোথায় কেন দাঁড়াচ্ছে ট্রেন, কখন তাঁরা পৌঁছতে পারবেন, অথবা তাঁদের মতো দুরপাল্লার ট্রেন যেন একটু আগে সিগন্যালিং দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ২৯ অক্টোবর 08532 বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং 08504 বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জার স্পেশ্যাল ট্রেনের সংঘর্ষের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ঘটনার পিছনের ‘মানব ত্রুটি’ কারণ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। আহতও প্রায় শতাধিক।