গভীর সমুদ্রে বিভিন্ন মাছের পাশাপাশি ওই মৎস্যজীবীরা পেয়েছিলেন ১৫৭টি ঘোল মাছ। আর সেই মাছই রাতারাতি বদলে দিয়েছে তাঁদের ভাগ্য। বহুদিন পর জালে ওঠা এই মাছ বাজারে বিক্রি করে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, গত ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় হারবা দেবী থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত তারে নামে এক মৎস্যজীবী। সঙ্গে আরও আট জন সহকর্মীকে নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই যাত্রাতেই তাঁদের জালে জড়িয়েছে দুর্মূল্য এই মাছ। তার পর পালঘরের মুরবে এলাকায় নিলামে তোলা হয় ওই মাছগুলি। সেখানেই উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ব্যবসায়ীরা কিনেছেন এই মাছ।
advertisement
ঘোল মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম 'প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস'। এই মাছ দিয়ে ওষুধ ও প্রসাধন তৈরির কাজ করা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের পর ব্যবহার হওয়া দেহের সঙ্গে মিশে যাওয়া সুতো তৈরি হয় এই মাছের শরীরের অংশ দিয়ে। হংকং, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানে এই মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দূষণের জন্য অনেক কমেছে ঘোল মাছ। তা পেতেই ভাগ্য ফিরতে চলেছে ওই মৎস্যজীবীদের। এই মাছের বিপুল উপকারীতার কারণে সমুদ্রের সোনা বলা হয় ঘোলকে।
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে শংকরপুর, মাছের ভরা মরসুমেও মন ভালো নেই উপকূলের মৎস্যজীবীদের!