জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে জোট বেঁধে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। তবে আগামী মাসের বৈঠকেই চিত্রটা আরও স্পষ্ট হবে। বৈঠকের বিষয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, “একসঙ্গে ভোটে লড়ার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি হয়েছে। মল্লিকার্জুন খাড়গে মিটিং করবেন। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কোথায় কোন দল লড়াই করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” রাহুল গান্ধি বৈঠকের বিষয়ে বলেন, “সবার মধ্যেই ছোট বড় মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু নমনীয় হয়ে একসঙ্গে কাজ করব। কারণ আমাদের মূল লক্ষ্য এক। আরও গভীরে গিয়ে খুব শিগগিরই আলোচনা হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন, জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, আজ থেকেই শুরু রুটমার্চ
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগ নয়, জানাল হাইকোর্ট
বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। আমরা বিরোধীরা নই। আমরাও দেশের সন্তান। আমরা ঠিক করেছি বিজেপি সরকার ইতিহাস পরিবর্তন করতে চাইছে । আমাদের রাজ্যে রাজভবনকে যে পৃথক একটা সরকারি কার্যালয় বানিয়ে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস আমরা জানি না, কিন্তু ওরা জানে। কেউ ওদের বিরুদ্ধে বললে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে। অর্থনীতি-বেকারত্ব নিয়ে এই কেন্দ্রীয় সরকার কোনও চিন্তা করে না। নিজের মর্জি মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ করে। কালা কানুন নিয়ে আসছে। এগুলো আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।”
লালু প্রসাদ যাদব বলেন, “আমি পুরোপুরি ফিট হয়ে গেছি। বিজেপিকে এবার আমি সরাব। শিমলার পরবর্তী বৈঠকে পরের ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে। সবাই বলত, আমরা কেন একসাথে লড়াই করিনা। বাজারে গিয়ে দেখুন কি দাম জিনিসের। বেকারত্ব বাড়ছে। হনুমানের নাম নিয়ে শুধু ভোট করে। বিজেপির হাল কিন্তু খারাপ। মোদীর অবস্থাও খারাপ হবে। ২০০০ টাকার নোট বাতিল করল। কেন করল? রাহুল গান্ধি ভাল কাজ করেছে৷ পায়ে হেঁটে ভালো করে দেশ দেখেছে। রাহুলের এবার বিয়ে করা উচিত৷ বয়স এমন কিছু হয়নি। আর আমরা বরযাত্রী যাব। এবার দাড়িটা ছোট ছোট করে কাটুন।”