সবমিলিয়ে এ দিন কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকের পর দিল্লির রাজনীতিতে জোর প্রশ্ন, তবে কি তৃণমূলের দেখানো পথেই অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল (TMC Congress Clash)? যে বৈঠক থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করার লক্ষ্য নিয়েছিল কংগ্রেস, সেই বৈঠকই তাদের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালো৷
advertisement
আরও পড়ুন: সংসদে নুসরত-মিমিতে মহিলাঘেরা সেলফি! বিতর্কের কেন্দ্রে শশী থারুর, চাইতে হল ক্ষমা...
সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে অতীতেও বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস৷ সেই বৈঠকে হাজিরও থেকেছে তৃণমূল৷ কিন্তু গত কয়েকমাসে কংগ্রেস- তৃণমূল সম্পর্কে চিড় ধরেছে৷ বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের নেতৃত্বে একজোট হওয়ার প্রশ্ন প্রকাশ্যেই আপত্তি করেছে তৃণমূল৷
এ দিনের বৈঠকে না যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি-র বিরোধিতায় তৃণমূল এখন নিজেই যথেষ্ট শক্তিশালী৷ তৃণমূল সাংসদদের পাল্টা প্রশ্ন, 'আমরা তো কোনও সময় কংগ্রেসকে নিজেদের অফিসে বৈঠকে ডাকি না৷ তাহলে ওরা বৈঠক ডাকলেই কেন আমাদের যেতে হবে৷' অতীতে কেন তাঁরা কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল সাংসদদের যুক্তি, 'অতীতে গিয়েছি বলে যখনই ডাকবে যেতে হবে তার কোনও মানে নেই৷ এটা তো নিয়ম হতে পারে না৷'
আরও পড়ুন: লক্ষ্য দিল্লি, সংবিধানে বদল আনছে তৃণমূল! ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
কংগ্রেসের এ দিন বৈঠকে আরও দশটি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকের মধ্যমণি ছিলেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধি৷ যে বিরোধী দলগুলি বৈঠকে অংশ নিেয়ছিল তার মধ্যে ছিল এনসিপি, আরজেডি, সিপিএম, ডিএমকে-র মতো দলগুলি৷
সংসদের বাইরেও এ দিন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের দূরত্ব প্রকট হয়েছে৷ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে এ দিন সরব হয় বিরোধীরা৷ সরকার পক্ষ রাজি না হওয়ায় সংসদের বাইরে আলাদা আলাদা বিক্ষোভ দেখান কংগ্রস এবং তৃণমূল সাংসদরা৷ '