ডিআরডিও সাফল্য নিয়ে কারও মনে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু, যে সময়ে এই সাফল্যের কথা সামনে আনা হল তার পিছনে রাজনীতি নেই তো? এই প্রশ্ন নানা মহলে। অনেকের মতে, বালাকোটে প্রত্যাঘাত নিয়ে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তোলার যে চেষ্টা করছিল বিজেপি সেটা অনেকটাই থিতিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে, রাহুল গান্ধির চৌকিদার চোর হ্যায় -এর পালটা হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ স্লোগান তোলেন। কিন্তু, রাহুল গান্ধি গরিবি হঠাওয়ের লক্ষ্যে যে ন্যায় প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা। যা চাপ বাড়িয়েছে বিজেপির উপর। এই প্রেক্ষাপটে, তাই কি এবার ডিআরডিওর সাফল্যকে পূঁজি করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি? তাই কি যে ঘোষণা প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা করতে পারতেন, রাষ্ট্রপতি করতে পারতেন, সেটাই এমন নাটকীয়ভাবে করতে হল নরেন্দ্র মোদিকে?
advertisement
বিরোধীরা চাইছে, কর্মসংস্থান, কৃষির মতো ইস্যুকে সামনে রেখে ভোটের প্রচারে যেতে। সম্প্রতি একাধিক সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে, দেশের বেশিরভাগ মানুষই চাকরি, রাস্তা, জল, স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বেশি চিন্তিত। খুব কম শতাংশ মানুষের কাছেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা বালাকোটের মতো ইস্যু অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, চাপে পড়েই কি আসরে নামতে হল নরেন্দ্র মোদিকে? যাতে জাতীয়তাবাদের আবহ ফের ফিরিয়ে আনা যায় এবং সেই আবহেই যাতে ভোট করানো যায়?
বিজেপির অবশ্য দাবি, দেশের অস্ত্রভাণ্ডার আরও শক্তিশালী হল, একথা খোদ প্রধানমন্ত্রী জানালে বিশ্বের কাছে তার তাৎপর্য অন্যরকম হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।