আজ সকাল থেকেই অজয় মিশ্র টেনির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় বিরোধী শিবির। লোকসভায় রাহুল গান্ধি বলেন, " লখিমপুর খেরিতে খুন হওয়া নিয়ে আমাদের বলতে দিতে হবে। সেই ঘটনায় জড়িত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বলা হচ্ছে সেখানে ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে মন্ত্রী কৃষকদের খুন করেছেন তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।"
advertisement
বেলা ১১ টা , দুপুর ১২ টা এবং ২ টায় রাজ্যসভায় সমস্ত আলোচনা বন্ধ রেখে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে সাসপেনশন ওফ বিজনেস নোটিশ দেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। একইসঙ্গে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা, অজয় মিশ্র টেনির শাস্তি ও পদত্যাগের দাবিতে রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব দেন কংগ্রেস সাংসদ দিপন্দর সিং হুডা।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, বিজেপির দাবি খারিজ করল হাই কোর্ট
লখিমপুর নিয়ে আলোচনা, অভিযুক্ত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব দেন কংগ্রেসের মনিকাম টেগোর। সংসদের উভয় কক্ষেই পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করে তৃণমূল। তাদের দাবি, অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র কে বরখাস্ত করতে হবে, লখিম্পুরের নিহতদের ন্যায়বিচার দিতে হবে। মঙ্গলবার রাহুল গান্ধি জানিয়েছিলেন লখিমপুর ইস্যুতে সংসদের ভিতরে বাইরে সরকারের ওপর চাপ বাড়ানো হবে। সেই মত সপ্তাহের থেকেই লখিমপুর ইস্যুতে চাপ বাড়াতে থাকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুন: বাংলার জন্য গর্বের দিন, মিলনের উৎসব দুর্গাপুজো হেরিটেজ হওয়ায় ট্যুইট মমতার
দিল্লির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার বাইরে একই দাবিতে বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। সব মিলিয়ে লখিমপুর ইস্যুতে চাপের মুখে মোদি সরকার। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে লখিমপুর বড় ইস্যু হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিশেষ করে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বড় অংশ জাঠ কৃষক। ফলে সেখানকার শখানেক আসনে বিজেপি চাপে থাকতে পারে বলে মোট পর্যবেক্ষকদের একাংশের।