গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ গত ১৯১ দিন ধরে সেই কমিটির সদস্যেরা দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অনুসন্ধান চালান৷ সেই অনুসন্ধানের ফল স্বরূপ ১৮ হাজার ৬২৭ পাচার এই রিপোর্ট আজ তুলে দেওয়া হল রাষ্ট্রপতির হাতে৷
রিপোর্টে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ অর্থাৎ, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানোর পক্ষেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ‘‘মানুষের অপ্রতিরোধ্য সমর্থন গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও মজুবত করবে৷ ভারত, অর্থাৎ ইন্ডিয়া সার্বিক ভাবে কী চায়, সেই আকাঙ্খাও সর্বসমক্ষে আসবে৷’’
advertisement
শুধু তাই নয়, একসঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার পাশাপাশি, নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে পুর নির্বাচন করানোর কথাও বলা হয়েছে এই রিপোর্টে৷
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই লোকসভা নির্বাচনের পরে, সংসদের প্রথম অধিবেশনে একটি দিন স্থির করা হবে৷ এরপরে যে সমস্ত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার মেয়াদ হবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত৷ তারপর, ২০২৯ সালে কেন্দ্রে তো বটেই রাজ্য সরকারের নির্বাচনও একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে৷ এতে বারবার নির্বাচনের খরচ, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটা লঘু হবে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে৷
যদিও, শুরু থেকেই এই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি চূড়ান্ত বিরোধিতা করে আসছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, আরজেডি-র মতো আঞ্চলিক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ তাদের দাবি, ধীরে ধীরে আমেরিকার কায়দায় নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইছে বিজেপি৷
শুধু তাই নয়, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হলে, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী হবে বলেও মত তাঁদের৷ এতে, কেন্দ্রে যখন যে দলের প্রভাব থাকবে, তার জোয়ারে আঞ্চলিক দলগুলি ‘ভেসে’ যেতে পারবে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে৷ সেক্ষেত্রে, আঞ্চলিক দলগুলির প্রভাব কতটা বজায় থাকবে তা নিয়েও সন্দিহান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷