পদত্যাগের সময় হাজির ছিলেন তিপ্রামোথা প্রধান প্রদ্যোত মাণিক্য। আগামী বিধানসভা ভোটে অন্যতম ফ্যাক্টর তিপ্রামোথা। ইতিমধ্যেই স্বশাসিত পর্ষদের ভোটে জিতেছে তিপ্রামোথা। আদিবাসী এলাকায় তাদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ফলে দলের আরও এক বিধায়কের পদত্যাগে চাপে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরই ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের আগেই আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট। স্বশাসিত জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা হংস কুমার ত্রিপুরা রাজ্যের একমাত্র আদিবাসী পরিষদের শাসকের দায়িত্বে থাকা দল তিপ্রামোথাতে যোগ দিয়েছেন মাস খানেক আগেই। হংস ত্রিপুরার সঙ্গে ৩ হাজার পরিবারের প্রায় ৬ হাজার ৫০০ জন কর্মী সমর্থকও এই দলে যোগদান করেছেন। রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মার থেকে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাক্তন রাঁধুনির কাছে রয়েছে মারাত্মক তথ্য, অনুব্রতকে আরও ঘিরছে সিবিআই! নিশানায় সুকন্যাও
প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে আগরতলার তুলসীবতী স্কুলে ৫ সংস্কারবাদী বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিকে বাঁচাতে একটি বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সব বিধানসভা থেকে পাঁচ-সাত জন করে নেতা কর্মীদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সভায় মূলত মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতামত জানার চেষ্টা হয়। একজন বক্তাও বলেননি ত্রিপুরায় দল ও সরকার ভালো কাজ করছে। ১৮ জন বক্তব্য রাখেন। সবাই দল ও সরকার পরিচালনায় আমূল পরিবর্তনের কথাই বলেন। অন্যথায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তিপ্রামোথা ও তৃনমূল মুখী হওয়ার প্রবনতা কমানো যাবেনা বলে তারা অভিমত দিয়েছিলেন।সভায় সুদীপ রায় বর্মণ, আশিষ সাহা,আশিষ দাস , দিবা চন্দ্র রাংখল ও বুর্ব মোহন ত্রিপুরা এই পাঁচ বিধায়ক সহ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রনজয় দেব বক্তব্য রাখেন। বিজেপি-র প্রায় দুই হাজার লোক এতে উপস্থি ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুজোর মধ্যে জেলায় জেলায় মহা-দুশ্চিন্তা হাজির, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল সরকার
জানা গিয়েছিল, সংস্কাবাদীদের নিয়ে ডাকা এই বৈঠকে বিজেপি-র বিক্ষুব্ধদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য মূলত একত্রিত হন।সভায় তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, দলের কর্মীরা ফাসট্রেটেড হয়ে গেছে। তাদের কথা শুনতেই এই সভা ডাকা হয়েছে। সভায় যেসব পয়েন্ট উঠে আসবে সেগুলি হাই কমান্ডকে জানানো হবে। যদিও এর পর বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যান সুদীপ। উপনির্বাচনে জিতে তিনি এখনও কংগ্রেস বিধায়ক। এবার দল ছাড়তে চলেছেন বুর্ব মোহন ত্রিপুরা। প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যের কথায় তা স্পষ্ট।