জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পরেই তাঁকে চিকিৎসাধীন করা হয়েছিল। ২৫ তারিখ করোনামুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এই বৃদ্ধের মৃত্যু ওমিক্রনে দেশে দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার অক্সিজেন মাত্রা কমতে থাকে, এবং শেষ পর্যন্ত মারা যান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: আতঙ্ক-উদ্বেগ চরমে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার! কলকাতাতেই ১৯৫৪
উদয়পুর হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেছেন, 'করোনা সংক্রমিত হয়েই সেই ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা ছিল এবং নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল। ৭ দিনের মধ্যেই তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর তাঁর জিন বিন্যাসের রিপোর্টে ওমিক্রন ধরা পড়ে। এরপর ২৫ ডিসেম্বর তাঁর আরও একবার নমুনা পরীক্ষা হয়। দ্বিতীয়বারও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।'
আরও পড়ুন: ১১টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট পয়েন্ট ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা, সংক্রমণ রুখতে কড়া প্রশাসন
করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২৭০। কলকাতাতেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬ জনের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। শুক্রবার রাজ্যে নতুন করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তবে তাঁদের মধ্যে কতজন ওমিক্রনে আক্রান্ত, তা অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর জানায়নি।