কেন্দ্রের চিঠিতে উল্লেখিত, "সাম্প্রতিক বিজ্ঞানসম্মত সমস্ত দিক বিবেচনায় স্পষ্ট ওমিক্রন ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় তিনগুন বেশি সংক্রামক। এখনও ডেল্টা প্রজাতি মুক্ত হয়নি দেশ। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে দূরদর্শিতা, তথ্য বিশ্লেষণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কঠোর ও তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলা স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অবশ্যই দ্রুত গতিতে নিতে হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন! কেন?
কেন্দ্র ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণে রাশ টানতে যে তৎপরতা এ দিনের এই চিঠিতেই স্পষ্ট। কেন্দ্রের তরফে পাঠানো চিঠিতে রাজ্য প্রশাসনকে স্ট্যাটেজিক্যালি সমাধানের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কন্টেইনমেন্ট জোন, করোনা পরীক্ষা, কেউ আক্রান্ত হলে, তিনি কোথায় গিয়েছেন বা কার কার সঙ্গে মেলামেশা করেছেন তা নজরে রাখা, আক্রান্তের দিকে বিশেষ নজর রাখার পাশাপাশি তাঁকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত ধরণের সহায়তা কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে করোনা বিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও কড়া হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলদিয়ার অগ্নিকাণ্ডে আহতদের গ্রিন করিডর করে আনা হল কলকাতায়, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী
কন্টেইনমেন্ট জোনগুলির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচিব নাইট কার্ফু লাগু করা, জমায়েত নিষিদ্ধ করা, বিয়ে এবং শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে নিমন্ত্রণে কাটছাঁট, গণপরিবহনে যাত্রী তোলার সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার মতো বিষয়ে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করার, পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত রাখার বিষয়েও এ দিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।