TRENDING:

দরিদ্র পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য রাতে স্টেশনের কুলির কাজ করেন এই লেকচারার

Last Updated:

Nageshu Patro: সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত চর্চিত এই তরুণ। তিনি সকালে বেসরকারি কলেজে লেকচারার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেরহামপুর : তিনি সকালে বেসরকারি কলেজের লেকচারার। রাতে মালবাহক। দুই মেরুর এই অবস্থানকে এক বিন্দুতে মিলিয়েছেন ওড়িশার গঞ্জামের নাগেশু পাত্র। সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত চর্চিত এই তরুণ। তিনি সকালে বেসরকারি কলেজে লেকচারার। রাতে বেরহামপুর স্টেশনে মালবাহকের কাজ করেন। উদ্দেশ্য, তাঁর তৈরি দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের কোচিং সেন্টারে পড়ানো যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে।
advertisement

২০১১ সালে থেকে তিনি নথিভুক্ত মালবাহক হিসেবে কাজ করছেন। অতিমারি পর্বে তাঁর জীবন সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনচলাচল। তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। জীবিকা হারিয়ে তিনি নিশ্চল হয়ে বসে থাকতে চাননি। দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য কোচিং সেন্টার শুরু করেন ওড়িয়া ভাষায় এই স্নাতকোত্তর। তাঁর তৈরি কোচিং সেন্টারে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে আসে। নাগেশ তাদের হিন্দি আর ওড়িয়া পড়া দেখিয়ে দেন। অন্যান্য বিষয়ের জন্য তিনি শিক্ষক নিয়োগ করেন। মালবাহক হিসেবে তিনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা উপার্জন করেন। তার বেশির ভাগ টাকাই তিনি ব্যয় করেন এই কোচিং সেন্টারের জন্য। তাঁর নিয়োগ করা শিক্ষকরা মাসে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান।

advertisement

আরও পড়ুন :  গভীর রাতে ফুঁপিয়ে কান্নার পরই 'আত্মঘাতী' কোটার ছাত্র, তদন্তে জানল পুলিশ

বেসরকারি কলেজে অতিথি লেকচারার হিসেবে নাগেশু প্রতি মাসে পারিশ্রমিক পান ৮ হাজার টাকা। এই টাকায় মূলত তাঁর সংসার চলে। সংসারে আছেন ৬৫ বছর বয়সি বাবা এবং ৫৮ বছরের মা। নাগেশু জানিয়েছেন তিনি শিক্ষকতার পেশা ভালবাসেন। তাই দরিদ্র পড়ুয়াদের পড়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে চান। জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে হাইস্কুলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় নিয়মিত ছাত্র হিসেবে বসতে পারেননি। কারণ তাঁর বাবা মা, যাঁদের পেশা ছাগল ও মেষ চড়ানো, তাঁরা অর্থের সংস্থান করতে পারেননি। তাই গুজরাতের সুরাতে তাঁকে কাজ খুঁজতে চলে যেতে হয়েছিল।

advertisement

আরও পড়ুন :  গোবিন্দভোগ চালেও কর ! সংসদে বিরোধিতা সুদীপের

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

দু’ বছর নাগেশু সুরাতে একটি কাপড়ের কলে কাজ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। তার পর হায়দরাবাদের শপিং মলে নাগেশু সেলসম্যানের কাজ নেন। সেখানেই কুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন। মালবাহকের পেশায় থাকাকালীনই করেসপন্ডেন্স কোর্সে দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসেন। এর পর বেরহামপুর কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দেন নিয়মিত ছাত্র হিসেবেই। সে সময়ও তিনি রাতে মালবাহকের কাজ করতেন।

advertisement

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
দরিদ্র পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য রাতে স্টেশনের কুলির কাজ করেন এই লেকচারার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল