শুধু পদক জয় নয়, কর্মজীবনে একাধিকবার ভাল কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন গোপাল৷ ২০০৯ সালে এএসআই পদে উন্নীত করা হয় তাঁকে৷ গোটা কর্মজীবনে ১২ বার ভাল কাজের জন্য 'গুড সার্ভিস মার্কস' পেয়েছিলেন গোপাল৷ ৮ বার নগদ পুরস্কারও পান তিনি৷ গত দু' বছর ধপে গান্ধি চক আউট পোস্টে এএসআই হিসেবে কাজ করছিলেন গোপাল৷ কর্মজীবনে একবারই ছোটখাটো শাস্তি পেয়েছিলেন গোপাল৷
advertisement
আরও পড়ুন: যখন তখন মেজাজ হারাতেন, মানসিক রোগী ছিলেন মন্ত্রীকে গুলি করা গোপাল!
মন্ত্রী খুনে অভিযুক্ত গোপাল দাসের স্ত্রী জয়ন্তী স্বীকার করেছেন, তাঁর স্বামীর মানসিক সমস্যা ছিল৷ এর জন্য ওষুধও খেতেন তিনি৷ যদিও গোপালের মানসিক সমস্যার কথা তাঁর সার্ভিস বুকে উল্লেখ করা নেই৷
গোপালের স্ত্রীর কথায়, 'গত ১২-১৩ বছর ধরে উনি ঝারসুগুদাতেই চাকরি করছেন৷ কারও সঙ্গে ওঁর কোনও বিবাদ ছিল না৷ গত রবিবার মেয়েকে ভিডিও কল করে আমার খোঁজ নিয়েছিলেন৷ ওঁর চিকিৎসার সব প্রেস্ক্রিপসনও আমাদের কাছে আছে৷ আমরা ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করব৷'
আরও পড়ুন: ৪০ টিরও বেশি গাড়ি, ওড়িশায় পুলিশের গুলিতে প্রয়াত মন্ত্রী নবকিশোর ছিলেন মন্ত্রিসভায় ধনীতম
গত রবিবার ঝারসুগুদায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাসকে গুলি করেন গোপাল দাস নামে ওই এএসআই৷ পর ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই মন্ত্রীর৷ নবকিশোর দাস ঝারসুগুদার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নেতা ছিলেন৷
কয়েক বছর আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেডি-তে যোগ দেন তিনি৷ গত বছর মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ ২০২২ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় নবকিশোর দাসকে৷