এ দিন সংসদের অনেক শীতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল সরকারের তরফে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সমস্ত রাজনৈতিক দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই বৈঠকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের দাবি এবং পরামর্শ পেশ করেছেন। সেখানেই আচমকা বিজু জনতা দলের সাংসদরা এই প্রস্তাব পেশ করেন।
advertisement
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব ফাঁস হওয়ার পরেই নিজেদের রাজ্যে বিধান পরিষদ করার বিষয়টি মাথায় এসেছে নবীন পট্টনায়েকের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে রাজ্য বিধানসভায় ভোটাভুটিতে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
ভোটাভুটিতে বিধান পরিষদ গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন ১৯৬ জন। বিপক্ষে মত দিয়েছেন ৬৯ জন। তবে, বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও, বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সিলমোহর দরকার। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ঘুরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দু’কক্ষেই প্রস্তাবটি পাশ করাতে হবে। তার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর লাগবে। তবেই এ রাজ্যে রাজ্যে বিধান পরিষদ চালু হবে।
সংসদের মতো রাজ্যের আইনসভাও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষটি বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষটি বিধানসভা হিসেবে পরিগণিত হয়। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১ জন সদস্যকে নিয়ে বাংলাতেও বিধান পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ তার অবলুপ্তি ঘটে। সেই থেকে শুধুমাত্র বিধানসভার মাধ্যমেই শাসনকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে রাজ্যে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিধান পরিষদ গঠনের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু কাজ এগোয়নি।