প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে জানান, এমন কিছুই ঘটেনি পরীক্ষার হলে৷ কোল্লমের পরীক্ষা কেন্দ্রের এক জন সুপারিন্টেন্ডেন্ট, এক পরিদর্শক, এক জন শহরের কো-অর্ডিনেটর এনটিএ-কে জানিয়েছে, এমন কোনও ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পরীক্ষা কেন্দ্রের এক জন পরিদর্শক জানিয়েছেন, সুপারিন্টেন্ডেন্ট লক্ষ করেছিলেন, এক মহিলা পরীক্ষার্থীর কাঁধে ধাতব বোতাম রয়েছে। সেই সুপারিন্টেন্ডেন্ট এনটিএ-কে চিঠি লেখার সময়ে জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ 'মনগড়া'। তাঁর বয়ানে লেখা হয়েছে, 'আমি সমসত প্রক্রিয়া নিয়ে সতর্ক ছিলাম এবং আমি যত দূর জানি, পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে কোন খারাপ ঘটনা ঘটেনি। আমি মনে করি অভিযোগটি কাল্পনিক এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে।'
advertisement
আরও পড়ুন: পরীক্ষার আগে অন্তর্বাস খোলানো হল, দিশেহারা পরীক্ষার্থীরা, আইনের দরজায় অভিভাবকরা
অন্য দিকে পরিদর্শক চিঠিতে লেখেন, 'আমি সরাসরি এ রকম কোনও ঘটনা ঘটতে দেখিনি। কারও অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
পরীক্ষার্থীর বাবা জানান, পরীক্ষা শুরু হতেই তিনি আর তাঁর স্ত্রী বাইরে পেরিয়ে গিয়ে নিজেদের গাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া করতে থাকেন। এমনই সময়ে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। লেখা ফুটে ওঠে, 'ইনফর্মেশন টেকনোলজি'। তাঁদের বলা হয় হলের গেটে যেতে। দম্পতি গিয়ে দেখেন, তাঁদের মেয়ে কাঁদছেন। বাবা-মাকে তিনি সব কথা খুলে বলেন এবং পরিদর্শকদের নির্দেশ অনুযায়ী, মায়ের থেকে একটি শাল নিয়ে নেন। আবারও পরীক্ষার হলে চলে যান তাঁদের মেয়ে। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরিয়েই কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কোলে লুটিয়ে পড়েন তাঁদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৯.১২ শতাংশ
রাজ্যের মহিলা কমিশনও এই ঘটনার জন্য একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবারের এই ঘটনা নিয়ে কেরলের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু সোমবার জানিয়েছেন, রাষ্ট্র-চালিত কোনও সংস্থা দ্বারা আয়োজিত নয় পরীক্ষাটি। যা ঘটেছে তা আয়োজকদের পক্ষ থেকে গুরুতর ভুল হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, "তাঁদের মানবাধিকারের কথা না ভেবে মহিলা পরীক্ষার্থীদের প্রতি এই ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। সেন্টার অ্যান্ড ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-কে এই ঘটনার কথা জানানো হবে।"