সেই এনএসজি কমান্ডারের অক্সিজেন লেভেল কমতে থাকে ক্রমশ। যার ফলে তাঁকে নয়ডার ওই হাসপাতাল থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রেফারেল হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি ছিল না। ফলে তাঁকে অন্য কোথাও শিফট করাতে হত। এর পরই দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন বেডের খোঁজ শুরু হয়। ৃন্তু পাঁচ ঘন্টা কেটে গেলেও গোটা দিল্লিতে একটিও অক্সিজেন বেডের হদিশ পাওয়া যায়নি। যার জেরে অ্যাম্বুলেন্সে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই এনএসজি কমান্ডার। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাঁদের কাঁধে, তাঁদেরই যদি এমন অবস্থা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে! এমনই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এমনিতেই সেনা জওয়ানদের চিকিৎসা পরিষেবায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকে সরকারের তরফে। কিন্তু দেশে করোনার দাপটে এখন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে হাসপাতালের বেডের আকাল দেখা দিয়েছে।
advertisement
কয়েকদিন আগেই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে জনপ্রিয় মার্কিন চিকিৎসক ডাক্তার অ্যান্থনি ফাউকি জানিয়েছিলেন, ভারতে এখন যা অবস্থা তাতে অবিলম্বে বহু জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা উচিত। যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে যে কোনো সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে। এমনিতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র অস্থায়ী হাসপাতাল বড় সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে। ডাক্তার ফাউজি জানিয়েছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের সেনাবাহিনীর সাহায্যে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা যেতে পারে। গত বছর চিনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর সেখানকার সরকার সেনাবাহিনীর সাহায্যে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করেছিল। এবার চিনা মডেল অনুসরণ করতে পারে ভারত। তেমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই মার্কিন ডাক্তার। দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। গত ১৫ দিন ধরে চলছে এই অক্সিজেনের আকাল। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অক্সিজেন এক্সপ্রেস পাঠানো হয়েছে রাজধানীতে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।