কিন্তু উল্লেখযোগ্য ঘটনাটা ঘটতে চলেছে সন্ধের পর। এ দিনই ‘ন্যাশনাল লজিস্টিক পলিসি’ ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী, যার লক্ষ্য লজিস্টিক খাতে বরাদ্দ কমিয়ে জিডিপি-র ৪ শতাংশে নিয়ে আসা।
এই প্রসঙ্গে এক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক নিউজ ১৮-কে বলেছেন, ‘লজিস্টিক সেক্টরে এটা মোড় ঘুরিয়ে দিতে চলেছে। এর লক্ষ্য হল, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লজিস্টিক হাব তৈরি করা। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মানদণ্ড অর্জন করা যায়।’
advertisement
ওই সরকারি কর্তা আরও বলেন, ‘লজিস্টিক খরচ বর্তমানে ১৩ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য। যাতে ‘লজিস্টিক পারফরম্যান্স’ সূচকে উঠে বিশ্বের শীর্ষ ২৫টি দেশের মধ্যে ঠাঁই করে নেওয়া যায়। সরকার গত আট মাসে এই বিষয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। গুজরাত, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো ১৪টি রাজ্য তাদের 'স্টেট লজিস্টিক পলিসি' গঠন করেছে। আরও ১১টি রাজ্য খসড়া প্রস্তুত করে ফেলেছে।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে গতিশক্তি প্রকল্প শুরু হয়েছে। চলছে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের কাজ। জাতীয় লজিস্টিক নীতি প্রক্রিয়া, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, দক্ষতাকে পরিচালনা করার মাধ্যমে পরিষেবা এবং মানব সম্পদে দক্ষতা উন্নত করার উপাদানগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন - ৭০ বছর পর ভারতে এল বিরল চিতা, গোয়ালিয়র থেকে পৌঁছল কুনো জাতীয় উদ্যানে
জাতীয় লজিস্টিক নীতির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ইকোসিস্টেমের সমস্ত উপ-ক্ষেত্রের জন্য একটি অতিরিক্ত আন্তঃবিভাগীয়, ক্রস-সেক্টরাল, বহু-অধিক্ষেত্র এবং ব্যাপক নীতি কাঠামো স্থাপন করাই লক্ষ্য।
নতুন নীতিতে লাভ কোথায়?
বর্তমানে লজিস্টিক সেক্টরে প্রায় ২২ মিলিয়ন লোক কাজ করছেন। নয়া জাতীয় নীতিতে সেই কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে। কাজের ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করা হবে। লজিস্টিক সেক্টরের স্টেকহোল্ডারদের, সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে, সমন্বিত পদ্ধতিতে লজিস্টিক সমস্যাগুলির সময় মতো সমাধান করার দিকেও নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন - মোদির জন্মদিনে ৫৬ ইঞ্চির থালি! শেষ করলেই লাখ লাখ টাকা পুরস্কার
এটি ভারতকে একটি লজিস্টিক হাব হিসাবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে সহজতর করবে বলেই আশা। সেই সঙ্গে লজিস্টিক খরচ কমে আসবে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের অপচয় কমবে। এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন নীতির ফলে এমএসএমই এবং কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাত, দ্রুত চলমান ভোগ্যপণ্য এবং ইলেকট্রনিক্সের মতো ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।’
তিনি যোগ করেন, ‘ট্রেস মেকানিজম এবং ইনভেন্টরির রিয়েল টাইম ট্র্যাকিংয়ের প্রচারের মাধ্যমে, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট খরচ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তা ছাড়া লজিস্টিক দক্ষতা শুধুমাত্র পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর নির্ভর করে না, কিন্তু ডিজিটাল সিস্টেম এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কিত মানব সম্পদ এবং পরিষেবাগুলির উন্নয়নের উপরও নির্ভর করে।’