গত সপ্তাহেই এই কিবিথু গ্রামের নিকটবর্তী একটি অরণ্যের কিছুটা অংশের নাম একক ভাবে পরিবর্তন করেছিল চিন৷ চিনের বিদেশমন্ত্রী অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানিয়েছিলেন, “জাংনান চিনের ভূখণ্ড। জাংনানে ভারতীয় আধিকারিকদের সফর চিনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে৷ এই ঘটনা সীমান্ত পরিস্থিতির শান্তি ও প্রশান্তি বজায় রাখার পক্ষে কখনওই সহায়ক নয়৷”
advertisement
অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশকে এক পাক্ষিকভাবে জাংনান নাম দিয়েছে চিন৷ যাকে ওরা দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে।
চিনের বিদেশমন্ত্রীর ওই হুঙ্কার সত্ত্বেও অবশ্য নিজের কর্মসূচি অপরিবর্তিত রেখেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এদিন শুধু যে তিনি চিনা নিয়ন্ত্রণরেখার সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রামে রাত্রিবাস করবেন তা-ই নয়, এদিন তিনি LAC-তে কর্মরত ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের (ITBP) পোস্ট পরিদর্শন করবেন৷ বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গেও আলাপচারিতা করার কথা তাঁর৷ প্রসঙ্গত, এই এলাকা ভারতের প্রান্তিকতম এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এখানে ৪৭টি পোস্ট তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত এখানে নৈশটহলের ব্যবস্থা পর্যন্ত ছিল না৷
চলতি বছরের শুরুর দিকে, এই এলাকায় ১২টি স্টেজিং ক্যাম্প তৈরি, সাতটি নতুন ব্যাটালিয়ন নিয়োদ এবং একটি সেক্টর সদর দফতর তৈরির জন্য ১,৮০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (CCS)৷ এই সিদ্ধান্তের ঠিক পর পরই এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিঃসন্দেহে চিনকে কড়া বার্তা দেওয়ার সমকক্ষ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উত্তর সীমান্তে ১৯টি জেলার ৪৬টি ব্লকের মোট ২,৯৬৭টি গ্রামকে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রামের অধীনে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীদের স্থানীয় পণ্য, জীবনযাত্রা এবং মূল ভূখণ্ড থেকে পর্যটনকে উৎসাহিত করে জীবিকা প্রদান করা।