Bihar News: মানুষ যখন রোজ নদী-পুকুরে স্নান করত, তখনও দ্বারভাঙ্গায় ছিল স্যুইমিং পুল! গিয়েছিলেন নেহরু-ইন্দিরাও

Last Updated:

সন্তোষ কুমার জানান, সেই সময়ে দাঁড়িয়েই দ্বারভাঙার মহারাজা চেষ্টা করেছিলেন, এই দুর্গকে যতটা সম্ভব আধুনিক গড়ে তোলা যায়। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, এই প্রাসাদের চত্বরে একটা লেক, পুকুর এবং স্যুইমিং পুল থাকতে হবে। স্যুইমিং পুলে নামতে ছিল সিঁড়ি। তাতে চিনার গাছের কাঠ থাকত। তবে এখন আর তেমন কিছু নেই। কাঠও নেই আর, মইও ভেঙে পড়ে আছে।

বিহার: দ্বারভাঙ্গা। বিহারের দ্বারভাঙ্গা শহর নিজেই যেন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। এখানকার ট্রেন, জাদুঘর বা মন্দির, সবই ঐতিহাসিক। দ্বারভাঙ্গার মহারাজ দ্বারভাঙ্গাসহ দেশেকর জন্যেও বহু কিছু করেছেন। এ দেশের জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য৷ স্বাধীনতা সংগ্রামেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
দ্বারভাঙ্গার দুর্গও অনন্য ঐতিহ্য় সম্পন্ন৷ সেই ১৯ শতকেই দ্বারভাঙ্গা দুর্গে তৈরি হয়েছিল স্যুইমিং পুল। আর এই স্যুইমিং পুলে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বা দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি বা বিহারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কৃষাণ সিং সবাই একসময় এই স্যুইমিং পুলের ধারে এসে চায়ে চুমুক দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নবজাতকদের টিকাকরণ সুনিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ কেন্দ্রের! CoWIN -এর মতোই এল U-WIN অ্যাপ
দ্বারভাঙ্গা রাজ পরিবারের সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, ‘‘এই সুইমিং পুলটি নিজেই একটা ইতিহাস। ভারতের একজন রাষ্ট্রপতি, দুই প্রধানমন্ত্রী এবং একজন মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসেছেন।’’ তাঁদের কিছু ছবিও দেখান সন্তোষ৷ ছবিতে দেখা যায় জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধি এবং বিহারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী এই স্যুইমিং পুলের পাশে বসে ডিনার এবং চা খাচ্ছেন। এখানে সে সময় দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদকে গার্ড অব অনারও দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, মহারাজা কামেশ্বর সিং ১৯৬২ সালে এই প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
advertisement
advertisement
যদি ভারতে রাজা-রাজ্যের কথা হয়, তাহলে দরভাঙ্গা মহারাজের নামও তাতে যুক্ত হবে। এটি এর জাঁকজমক এবং রাজকীয় শৈলীর কারণে অতীতে পরিচিত। এখানকার জাঁকজমক অনুমান করা যায় 19 শতকে, দরভাঙ্গা মহারাজ আধুনিক চিন্তাধারায় হাভেলি প্রাঙ্গণে একটি সুইমিং পুল তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং দরভাঙ্গা মহারাজের উত্তরাধিকার সংরক্ষণ না করার কারণে এটি তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে।
advertisement
এই সুইমিং পুলটি ১৯৩৪ সালে তৈরি হয়েছিল
সন্তোষ কুমার জানান, সেই সময়ে দাঁড়িয়েই দ্বারভাঙার মহারাজা চেষ্টা করেছিলেন, এই দুর্গকে যতটা সম্ভব আধুনিক গড়ে তোলা যায়। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, এই প্রাসাদের চত্বরে একটা লেক, পুকুর এবং স্যুইমিং পুল থাকতে হবে। স্যুইমিং পুলে নামতে ছিল সিঁড়ি। তাতে চিনার গাছের কাঠ থাকত। তবে এখন আর তেমন কিছু নেই। কাঠও নেই আর, মইও ভেঙে পড়ে আছে।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Bihar News: মানুষ যখন রোজ নদী-পুকুরে স্নান করত, তখনও দ্বারভাঙ্গায় ছিল স্যুইমিং পুল! গিয়েছিলেন নেহরু-ইন্দিরাও
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement