সমিতির তরফে সমস্ত বাসিন্দাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে, সেখানকার পুরুষ বাসিন্দারা যাতে লুঙ্গি পরে ফ্ল্যাটের বাইরে না বের হন৷ মহিলারাও যাতে নাইটি পরে ঘরের বাইরে বেরনো এড়িয়ে চলেন৷ এই আজব পোশাক ফতোয়া নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ সত্যিই কি কে কোন পোশাক পরবেন, তা ঠিক করে দিতে পারে অন্য কেউ?
সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অ্যাপার্টমেন্টের কমন প্লেসে বা পার্কে, লুঙ্গি বা নাইটি পরে না যাওয়াই সমীচীন৷ এর পিছনে কারণও দেখিয়েছেন সমিতির সদস্যেরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি শেষ! এবার ‘টার্গেট’ সিলেবাস, ক্ষতি সামাল দিতে কি বাতিল হচ্ছে শনিবারের ছুটি?
TOI-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, হিমসাগর অ্যাপার্টমেন্টের ওই সমিতি গত ১০ জুন একটি নির্দেশিকা জারি করে৷ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে জানানো হয়, সেখানকার বাসিন্দারা যাতে লুঙ্গি এবং নাইটি পরে তাঁদের ফ্ল্যাটের বাইরে না বের হন। কিছু বাসিন্দা সার্কুলারটিকে স্বাগত জানালেও, অনেকেই পোশাক নিয়ে ব্যক্তি স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয় তুলে সরব হয়েছেন।
TOI-এর সাথে কথা বলার সময়, AOA-এর সভাপতি, সি কে কালরা, স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তাঁরা এর মাধ্যমে কোনও বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাননি৷ তবে কম্পাউন্ডে সকাল সকাল অনেকেই যোগব্যায়াম করেন৷ সেই সময় কিছু বাসিন্দার পোশাক নিয়ে কথা ওঠার পরেই তাঁরা এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হন।
“কিছুদিন আগে, কয়েকজন মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে একজন প্রবীণ নাগরিক লুঙ্গি পরে যোগব্যায়াম করছেন। প্রথমে, আমরা সবাইকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি। পরে অ্যাসোসিয়েশন একটি সার্কুলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়,” TOI-কে বলেন কালরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: “আবাসিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, সোসাইটিতে ঘোরাফেরা করার সময়, আপনার আচরণ এবং পোশাকের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেবেন৷ যাতে আপনার আচরণ নিয়ে কেউ আপত্তি করার সুযোগ না পায়। আপনার সন্তানরাও আপনার কাছ থেকে শেখে। তাই সবাইকে লুঙ্গি ও নাইটি পরে ঘোরাঘুরি না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷ মনে রাখবেন এগুলি ঘরের পোশাক।”