শরণার্থী অধিকার এবং তাঁদের সুরক্ষার জন্য দেশগুলির বাধ্যবাধকতার নীতি নির্ধারক জাতিসংঘের কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয় ভারত। প্রাক্তন কূটনীতিক, হরদীপ পুরী আবাসন, নগর বিষয়ক, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মন্ত্রী। অমিত শাহের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তিনটি ট্যুইটকে অনুসরণ করেই নিজে ট্যুইট করেছিলেন হরদীপ। উল্লেখ্য, অতীতে অবৈধ শরণার্থীদের ‘উইপোকা’ বলে অভিহিত করেছিলেন অমিত শাহ।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় বাঁক! ২০১৬, ২০২০ সালের মেধাতালিকা চাইল আদালত
রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়া ভারতে মেরুকরণের অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোট নিশ্চিত করতে প্রায়ই রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির নেতারাও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করেছেন।
এর আগে মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মায়ানমার থেকে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ফের দেশেই ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। কয়েক বছর ধরে নিজেদের জন্মভূমিতে নিপীড়ন ও হিংসা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসেন রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন- "ভারত জানতে চায়, দেশের জ্বলন্ত সমস্যায় নীরব কেন মোদি," আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের
রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী আলি জোহরের অনুমান, এই বছরের শুরু পর্যন্ত, প্রায় ১,১০০ রোহিঙ্গা দিল্লিতে এবং আরও ১৭,০০০ ভারতের অন্যত্র বসবাস করতেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই কায়িক শ্রম করে জীবন কাটান। হকার এবং রিকশাচালক হিসাবে কাজ করেন তাঁরা। এদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে এমন আশঙ্কায় এ বছর প্রায় ২,০০০ মানুষ বাংলাদেশে ফিরে গেছেন।