তবে আরজেডির সঙ্গে নীতীশের ফের মেলবন্ধন সহজ ছিল না। যখন কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে মহাজোট ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন নীতীশ কুমার তখন একটি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জোট ভাঙার পর নীতীশ বলেছিলেন, “আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল, আমার বিবেক আমায় নাড়া দিয়েছে... অন্য কোনও উপায় ছিল না।” যাদবদের ইঙ্গিত করে নীতীশ বলেছিলেন, “এই ধনের অবস্থান না নিলে আমি ভুল করব, আমি এই ধরনের রাজনীতি করি না।”
advertisement
আরও পড়ুন- বিহারে ফের 'লালু ম্যাজিক'! 'লালু বিন বিহার চালু' হতে পারে না, ইঙ্গিত লালু কন্যার
আরও পড়ুন- উদ্ধবের পরিণতি থেকে শিক্ষা, মহারাষ্ট্র কাণ্ড দেখেই বিজেপি-তে বিশ্বাসভঙ্গ নীতীশের
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষই মতপার্থক্য কাটিয়ে ওঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং একে অপরের কাজে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছে। এই মেলবন্ধনের যাত্রা স্পষ্টতই গত মে মাসে শুরু হয়েছিল। নীতীশ কুমার একটি ইফতার পার্টির জন্য তেজস্বী যাদবের বাড়িতে যান। এর পরেই নীতীশ কুমারের ইফতার পার্টিতে হাজির হন তেজস্বী যাদব।
সূত্রের খবর, লালু যাদবের সতর্ক দৃষ্টির তত্ত্বাবধানেই নীতীশ ও তেজস্বীর এই মেলবন্ধনের যাত্রাটি শুরু করা হয়েছিল। বন্ধু থেকে শত্রু হয়ে আবার বন্ধুত্বে ফিরে এসেছিলেন দুই পক্ষই। নীতীশ কুমার মঙ্গলবার বিকেলে দলের বিধায়কদের বৈঠকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন।