ইউসিসি-র কথা উল্লেখ না করে যে থিমগুলি তারা কভার করবে, তার উপরেই নিউজ ১৮-এর সাংবাদিকরা দেশের ২৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮,০৩৫ জন মুসলিম মহিলার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। ১৮ থেকে ৬৫+ মহিলাদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এঁদের মধ্যে নিরক্ষর থেকে স্নাতক, বিবাহিত থেকে অবিবাহিত– সমাজের সমস্ত স্তরের মুসলিম মহিলারাই ছিলেন। ইউসিসি মূলত সিভিল আইন যা বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ, রক্ষণাবেক্ষণের মতো অন্যান্য বিষয়ে সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য হবে। ইতিমধ্যেই ইউসিসি-র তীব্র বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে একাধিক মুসলিম সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে মহিলাদের মত জানতে সমীক্ষার আয়োজন করে নিউজ ১৮।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিবাহবিচ্ছেদে বিধিনিষেধ ছাড়াই পুনর্বিবাহের অধিকার চান ৭৪ শতাংশ মুসলিম মহিলা
ফলে যখন সমীক্ষায় প্রশ্ন রাখা হয় যে, পুরুষ এবং মহিলাদের বিয়ের আইনি বয়স ২১ বছর ধার্য করাটাকে কি আপনারা সমর্থন করছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে ৭৮.৭ শতাংশ (৬৩২০ জন) মহিলা ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। আর ১৬.৬ শতাংশ (১৩৩৭ জন) মহিলা ‘না’ বলেছেন। আর বাকি ৪.৭ শতাংশ (৩৭৮ জন) মহিলা বলেছেন ‘জানি না’ বা বলতে পারব না’।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা স্নাতক কিংবা তার বেশি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৮২.৪ শতাংশ (২৫০০ জন) মহিলা বলেছেন ‘হ্যাঁ’। তবে ১৪.৩ শতাংশ (৪৩৩ জন) মহিলা বলেছেন ‘না’। আর ৩.৩ শতাংশ (১০০ জন) বলেছেন ‘জানি না’ বা বলতে পারব না’।
আবার ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৮০.১ শতাংশ (৫০৪০ জন) মহিলা ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। সেখানে ওই বয়সীদের মধ্যে ১৫.৮ শতাংশ (৯৯৫ জন) মহিলা ‘না’ বলেছেন এবং ৪.১ শতাংশ (২৬০ জন) মহিলা বলেছেন ‘জানি না’ বা বলতে পারব না’। তবে ৪৪ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭৩.৬ শতাংশ (১২৮০ জন) মহিলা ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। আর ১৯.৭ শতাংশ (৩৪২ জন) বলেছেন ‘না’। এছাড়া ৬.৭ শতাংশ (১১৮ জন) মহিলা বলেছেন ‘জানি না’ বা বলতে পারব না’।
আরও পড়ুনঃ পুত্র ও কন্যাদের জন্য সমান উত্তরাধিকার চান ৮২ শতাংশ মুসলিম মহিলা
অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মধ্যে ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ছিলেন ১৮.৮ শতাংশ, ২৫-৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ছিলেন ৩২.৯ শতাংশ, ৩৫-৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ছিলেন ২৬.৬ শতাংশ, ৪৫-৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ছিলেন ১৪.৪ শতাংশ, ৫৫-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ছিলেন ৫.৪ শতাংশ এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে ছিলেন ১.৯ শতাংশ। এঁদের মধ্যে আবার ৭০.৩ শতাংশ বিবাহিতা, ২৪.১ শতাংশ অবিবাহিতা, ২.৯ শতাংশ বিধবা এবং ২.৯ শতাংশ বিবাহবিচ্ছিন্না। এখানেই শেষ নয়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৩.১ শতাংশ ছিলেন সুন্নি, ১৩.৩ শতাংশ ছিলেন শিয়া এবং ১৩.৬ শতাংশ অন্যান্য।
পড়াশোনার নিরিখে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০.৮ শতাংশ ছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং ২৭ শতাংশ গ্র্যাজুয়েট। ২০.৮ শতাংশ দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। ১৩.৮ শতাংশ দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ। ১২.৯ শতাংশ পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর ৪.৪ শতাংশ পড়েছেন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। এছাড়া শিক্ষিত ৪.২ শতাংশ। এর পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা রয়েছে, এমন ৪.২ শতাংশ মহিলা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া অন্যান্য অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১.৯ শতাংশ।