সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় নিউজ ১৮-এর সাংবাদিকরা ইউসিসি-র উল্লেখ করেননি। তবে ইউসিসি এলে আইনের যে ধারাগুলি ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য হবে সেই বিষয়গুলি নিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন। তাতেই দেখা গিয়েছে ৭৪ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম মহিলা কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই পুনর্বিবাহের অধিকার চান।
আরও পড়ুনঃ পুত্র ও কন্যাদের জন্য সমান উত্তরাধিকার চান ৮২ শতাংশ মুসলিম মহিলা
advertisement
১৮ থেকে ৬৫+ মহিলাদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এঁদের মধ্যে নিরক্ষর থেকে স্নাতক, বিবাহিত থেকে অবিবাহিত– সমাজের সমস্ত স্তরের মুসলিম মহিলারাই ছিলেন। ইউসিসি মূলত সিভিল আইন যা বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ, রক্ষণাবেক্ষণের মতো অন্যান্য বিষয়ে সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ইউসিসি লাগু করা উচিত কি না তা নিয়ে আইন কমিশন সমাজের সব স্তরের মানুষের থেকে মতামত নেবে বলে কেন্দ্র সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার অগ্রাহ্য করা উচিত নয়’।এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে মুসলিম মহিলাদের মতামত জানতে সমীক্ষার আয়োজন করে নিউজ ১৮।
তালাকপ্রাপ্ত দম্পতিদের কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই পুনরায় বিয়ের অধিকার দেওয়া উচিত কি না জানতে চাইলে ৭৪ শতাংশ (৫,৯১৮) মহিলা বলেছেন ‘হ্যাঁ’, ১৮ শতাংশ (১,৪৫০) মহিলা বলেছেন ‘না’, ৮ শতাংশ (৬৬৭) মহিলা বলেছেন ‘জানি না বা বলতে পারব না’।
উত্তরদাতাদের মধ্যে স্নাতক বা উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন এমন ৭৯ শতাংশ (২,৩৯৫) মহিলা বলেছেন ‘হ্যাঁ’, ১৬ শতাংশ (৪৭৩) মহিলা বলেছেন ‘না’। আর ৫ শতাংশ (১৬৫) মহিলা বলেছেন ‘জানি না বা বলতে পারব না’।
১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে, ৭৫ শতাংশ (৪,৭২৫) বলেছেন ‘হ্যাঁ’, ১৭ শতাংশ (১,১০১) বলেছেন ‘না’, এবং ৭ শতাংশ (৪৬৯) বলেছেন ‘জানি না বা বলতে পারব না’। ৪৪+ বয়সীদের ক্ষেত্রে, ৬৯ শতাংশ (১,১৯৩) বলেছেন ‘হ্যাঁ’, ২০ শতাংশ (৩৪৯) বলেছেন ‘না’, এবং ১১ শতাংশ (১৯৮) বলেছেন ‘জানি না বা বলতে পারব না’।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মধ্যে, ১৯ শতাংশ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী, ৩৩ শতাংশ ২৫-৩৪ বছর বয়সী, ২৭ শতাংশ ৩৫-৪৪ বছর বয়সী, ১৪ শতাংশ ৪৫-৫৪ বছর বয়সী, ৫ শতাংশ ৫৫-৬৪ বছর বয়সী এবং ২ শতাংশের বয়স ছিল ছিল ৬৫ বছরের বেশি। এঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ বিবাহিত, ২৪ শতাংশ অবিবাহিত, ৩ শতাংশ বিধবা এবং ৩ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত। মোট উত্তরদাতাদের ৭৩ শতাংশ সুন্নি, ১৩ শতাংশ শিয়া এবং ১৪ শতাংশ অন্যান্য সম্প্রদায়ভুক্ত।
এই মহিলাদের মধ্যে, ১১ শতাংশ স্নাতকোত্তর, ২৭ শতাংশ স্নাতক, ২১ শতাংশ ১২+ শ্রেণী পর্যন্ত, ১৪ শতাংশ ১০+ শ্রেণী পর্যন্ত, ১৩ শতাংশ পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত, এবং ৪ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এছাড়া ৪ শতাংশ নিরক্ষর এবং ৪ শতাংশের মৌলিক স্বাক্ষরতা ছিল।