আমরা সকলেই এমন এক ভারতের মধ্য দিয়ে বাস করে এসেছি যেখানে নীতিমালা প্রায়শই স্থবির ছিল এবং দুর্নীতি জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করে দিয়েছিল। আজ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে আমরা একটি রূপান্তরিত ভারত প্রত্যক্ষ করছি, যা সিদ্ধান্তমূলক শাসন, সাহসী সংস্কার এবং ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী মর্যাদা দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়ে উঠেছে। এই রূপান্তরটি আকস্মিক নয়; এটি এমন একজন নেতার নেতৃত্বের ফলাফল যিনি জাতিকে নিজের চেয়েও উপরে স্থান দিয়েছেন, চ্যালেঞ্জগুলিকে সুযোগে রূপান্তরিত করে তুলেছেন এবং প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে এই আস্থা জাগিয়ে তুলেছেন যে ভারতের সেরা বছরগুলি সামনে অপেক্ষা করছে। এখানেই তাঁর নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ, এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনন্য নেতৃত্ব।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেবল তাঁর সিদ্ধান্তের সাহসিকতাই নয়, বরং তাঁর শাসন মডেলের শৃঙ্খলাও আলাদা করে তুলেছে অন্য সবার চেয়ে। তাঁর নেতৃত্বে আদেশ কখনই একমুখী নির্দেশ হয়ে ওঠে না; এগুলি প্রতিক্রিয়া এবং জবাবদিহি করারও একটি ধ্রুব চক্রের অংশ হয়ে ওঠে। সেই মতো প্রতিটি কাজ ট্র্যাক করা হয়ে থাকে, প্রতিটি ফলাফল পরিমাপ করা হয়ে থাকে এবং প্রতিটি সাফল্য পরবর্তী সংস্কারের জন্য একটি ধাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আদেশ এবং পর্যালোচনার এই ছন্দ দায়িত্বের এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করেছে যা সমগ্র ব্যবস্থাকে উজ্জীবিত করে। ঠিক যেমন তাঁর ভবিষ্যত প্রযুক্তির ব্যবহার মুগ্ধ করে তোলে, রিয়েল-টাইম ড্যাশবোর্ড থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত এর বিস্তৃতি যা নাগরিকদের হাতে সরকারকে তুলে দেয়, তিনি প্রশাসনকে একটি নিরবচ্ছিন্ন, স্বচ্ছ এবং দক্ষ প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করেছেন। প্রযুক্তির উপর বেড়ে ওঠা প্রজন্ম এবং বিশ্ব জুড়ে নেতাদের জন্য তিনি একটি জীবন্ত উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন যিনি শৃঙ্খলা, উদ্ভাবন এবং জবাবদিহির সহাবস্থান করতে পারেন এবং এটাই প্রকৃত চিরন্তন এক দৃষ্টিভঙ্গি।
জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির অঙ্গীকার দৃঢ় এবং দূরদর্শী। একটি শক্তিশালী ভারতকে নিজের পায়ে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে এই বিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হয়ে তিনি একটি নতুন সামরিক মতবাদ এবং আধুনিক প্রতিরক্ষা নীতি প্রবর্তন করেছেন যা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করে চলেছে এবং জাতিকে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুত করে তুলেছে। আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন জোরদার করা থেকে শুরু করে বিশ্ব শক্তির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করেছে যে ভারত কেবল সুরক্ষিতই নয়, বরং বিশ্ব মঞ্চে একটি শক্তিশালী কৌশলগত শক্তি হিসেবেও স্বীকৃত হয়েছে।
আজ এই নেতৃত্বের ফলাফল প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। নাগরিকদের জীবন সহজতর হয়েছে, তরুণদের জন্য সুযোগ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্ব জুড়ে ভারতের কণ্ঠস্বর অভূতপূর্ব সম্মানের দাবিদার হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন উপলক্ষে তাই আমরা কেবল আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছাই জানাই না, বরং আমাদের সম্মিলিত সংকল্পেরও পুনর্নবীকরণ করি: তাঁর সঙ্গে জাতি প্রথম-এর পথে হাঁটতে এবং আগামী বছরগুলিতে ভারতকে আরও উচ্চতায় উঠে যেতে দেখার লক্ষ্যে।
– রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর
লেখক একজন বিজেপি নেতা, শ্যুটিংয়ে অলিম্পিক পদকপ্রাপ্ত এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল। তিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে রাজস্থান সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপরোক্ত লেখায় প্রকাশিত মতামত ব্যক্তিগত এবং তা সম্পূর্ণ লেখকের। এগুলি নিউজ18-এর মতামতকে প্রতিফলিত করে না।